Indian Prime Time
True News only ....

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার মার্কিন মুলুকে

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

ব্যুরো নিউজঃ আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম ঘটছে এই ঘটনা। আমেরিকার নির্বাচনে বিপুল ভোটে এগিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য ইলেকটোরাল কলেজের ২৭০ টি ভোট প্রয়োজন হয়। যেখানে বাইডেন ইলেকটোরাল কলেজের ৩০৬ টি ভোট পেয়েছেন। আর ট্রাম্প ২৩২ টি ভোট পেয়েছেন। তাছাড়া ট্রাম্পের থেকে ৫৩ লক্ষের বেশি পপুলার ভোট পেয়েছেন বাইডেন। তবে ট্রাম্প দাবী জানান হান্ড্রেড পার্সেন্ট রিগড ইলেকশনে চরম জালিয়াতি হয়েছে। কিন্তু তিনি এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। তিনি জালিয়াতির অভিযোগ নিয়ে কয়েকটি মামলা দায়ের করলে বিচারকবর্গ সেই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন।

আজ মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বাইডেনকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল চূড়ান্ত করা নিয়ে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভ এবং সেনেটের বৈঠক চলছিল। আর কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সদস্যরা বিপুল ভোটে নাকচ করে দিয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ভেটোকে। যার জেরে রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছে আমেরিকার ক্যাপিটল বিল্ডিং। ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল বিল্ডিংএ ঢুকে নির্বাচনে ট্রাম্পের হারের প্রতিবাদ করতে থাকে।

- Sponsored -

- Sponsored -

সেখানে তাদের সেলফি তুলতে, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে দেখা যায়। এমনকি ট্রাম্প সমর্থকরা ব্যারিকেড ভেঙে, পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ছে ক্যাপিটল বিল্ডিংএ। চারিদিকে রক্তাক্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মুখে একটাই শ্লোগান যে ট্রাম্পকে কিছুতেই হারতে দেওয়া যাবে না।

এই ঘটনায় মেট্রোপলিটন পুলিশ চিফ রবার্ট ডে কন্টি বলেছেন, “হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ক্যাপিটল বিল্ডিং থেকে বিক্ষোভাকারীদের বের করা দেওয়া হয়েছে। প্রায় চার ঘণ্টা সময় লেগেছে এই বিল্ডিং খালি করতে। তবে গোটা বিল্ডিং চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে”।

ইতিমধ্যে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। এবং আহত হয়েছেন অসংখ্য মার্কিনী। যার জেরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে।

তবে এই ঘটনাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঠাট্টা-তামাশা করতে শুরু করেছে চিন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সংঘর্ষের তীব্র নিন্দা করেছেন। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই ঘটনাকে আমেরিকার ইতিহাসে অন্যতম কালো দিন রূপে চিহ্নিত করেছেন। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, “এটা আমেরিকার ছবি হতে পারে না। যারা একাজ করেছেন তারা উগ্র। আমরা আইন মেনে চলব। গণতন্ত্রে এটাই নিয়ম”।

- Sponsored -

- Sponsored -

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored

- Sponsored