আবারও বাঙালীর পাতে পড়তে চলেছে ইলিশের রকমারী স্বাদ

Share

পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ইলিশের মরসুম শেষ। মরসুম পেরিয়ে আচমকা প্রচুর ইলিশ মৎস্যজীবীদের জালে উঠলো। মঙ্গলবার থেকে আজ অবধি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার উপকূল তীরবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীদের জালে রুপোলী শস্য ধারা পড়তে থাকে।

ইলিশ নিয়ে বেশ কিছু ট্রলার কাকদ্বীপ, নামখানা, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, ফ্রেজারগঞ্জ সহ ডায়মন্ড হারবারের বেশ কিছু বন্দর গুলিতে ফিরেছে। ইলিশের মরসুম চলার সময় মৎস্যজীবীরা তেমন ভাবে আশা অনুযায়ী মাছ পাইনি। কিন্তু হঠাৎ করে মৎস্যজীবীরা ইলিশের দেখা পেয়ে উৎফুল্ল ও আনন্দিত হয়ে পড়েছে।


মৎস্য দপ্তর জানা গিয়েছে, ইলিশের মূল মরসুম ১৫ ই জুন থেকে ১৫ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। লক্ষাধিক টাকা খরচ করে এক একটি ট্রলার সমুদ্রে যায়। এমনিতেই ইয়াসের ফলে বেশ কিছু ট্রলার ভেঙে গিয়ে অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। যা ঠিকঠাক করতে ট্রলার মালিকের প্রচুর টাকা খরচ হয়। এদিকে এবার জালে ইলিশ তেমন ওঠেনি।


আর লোকসানের বহর কমাতে এই মরসুমে অনেক ট্রলার সমুদ্রে যায়নি। গত কয়েক বছর ধরেই এই পরিস্থিতি চলছে। অনেকে পেশা বদলের কথাও ভাবতে শুরু করেছিলেন। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৩৫ থেকে ৪০ টি ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে প্রচুর ইলিশ নিয়ে ফেরায় তাতে মৎস্যজীবীরা আশার আলো দেখছেন।


কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘‘৬৫ থেকে ৭০ টন ইলিশ নিয়ে ট্রলারগুলি ঘাটে ফিরেছে। এক-একটি ইলিশের ওজন ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম। ইলিশ মাছগুলি একটু লম্বাটে চেহারার। যার পাইকারী দর কিলো প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু বর্ষার ইলিশের মতো স্বাদ হবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না’’।

কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী বুদ্ধদেব দাস বলেছেন, “ইলিশ ধরার মরসুম শেষ তবে গত মঙ্গলবার থেকে মৎস্যজীবীদের জালে ইলিশ ধরা পড়েছে। গভীর সমুদ্রেও ইলিশের দেখা পাওয়া গেছে। এই বছর ইলিশের মরসু্মে আশা অনুযায়ী ইলিশ না পাওয়ায় আমাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু এবারে ইলিশের জোগান সেই ক্ষতির ঘায়ে আংশিক হলেও মলমের প্রলেপ লাগাতে পারে।

ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজার মৎস্য আড়ৎতে আড়ৎ মালিক জয়ন্ত সরকার জানিয়েছেন, “হঠাৎ করে বেশ কয়েকদিন ধরেই মৎস্যজীবীদের জালে ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে ইলিশ ধরা পড়ছে। যার প্রতি কেজি বাজারমূল্য প্রায় ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা।

অসময়ে ইলিশ পাওয়ায় চলতি বছর মৎস্যজীবীদের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছিল সেই ক্ষতি কিছুটা হলেও ক্ষতি পূরণ হবে। ইতিমধ্যে অন্যান্য মৎস্যজীবীরা ইলিশ ধরার জন্য গভীর সমুদ্র পাড়ি দিয়েছে। অতএব শীতের মরসুমে ইলিশের স্বাদ পেতে চলেছে ভোজন রসিক বাঙালীরা।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930