নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ অরুণকুমার মাইতি নামে এক শিল্পপতি নদীয়ার চাকদহ থানার শিমুরালি নরপতি পাড়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি অত্যাধুনিক ফুড প্রসেসিং ও প্রিজারভেটিভ শিল্পকে গড়ে তুলতে চান। এর জন্য তিনি ২০১৭ সালে ওই এলাকায় ৪৭ বিঘা জমি কিনেছিলেন।
গত বছরের প্রথম দিকে কারখানার শেড বানিয়ে তাতে মাটি ফেলে উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করেছিলেন। তারপরে করোনার কারণে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। তাই দীর্ঘ ১০ মাস পর তিনি কারখানায় এসে দেখেন কারখানার মাটি সহ বেশ কিছু জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়। জমির উপর দিয়ে ড্রেন কেটে দেয় বেশ কিছু দুষ্কৃতী। এর প্রতিবাদ করায় কারখানা তৈরির কাজে কয়েকজন দুষ্কৃতী বাধা সৃষ্টি করে এবং এলাকায় বোমাবাজি পর্যন্ত হয়।
তারপরই ওই শিল্পপতি চাকদহ থানায় ৫ জন দুষ্কৃতীর নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমনকি এই বিষয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে চিঠিও প্রদান করেছেন।
তবে গ্রামবাসীদের তরফ থেকে জানানো হয়, জমিটি নীচু হওয়ার কারণে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থার জন্য ড্রেন কাটা হয়েছিল। তবে জমির মালিক সেই ড্রেনটি বুজিয়ে দিতে চাইছেন। এই বিষইয়ে জমির মালিকের সঙ্গে আলোচনার পরেও তিনি বহিরাগত লোক এনে বিবাদ সৃষ্টি করেছেন।
চাকদার বিধায়ক তথা ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী রত্না ঘোষ কর বলেছেন, “পূর্বে ওই জমির উপরে একটি খাল তৈরি করা হয়েছিল। যা দিয়ে প্রায় ১০০ বিঘা জমির জল বার করা হয়। তাই নিয়েই বিবাদ হয়। তবে শিল্প কারখানা তৈরিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন”।