নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ আগামী ১ লা জুন থেকে এনজেপি-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রুটের মিতালী এক্সপ্রেসের ট্রেনের চাকা গড়াতে শুরু করবে। ফলে ইতিমধ্যে মিতালী এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি হওয়া শুরু হয়ে গেছে।
এর আগে এই ট্রেন একাধিকবার চালু হওয়ার ঘোষণার করেও কখনো করোনার প্রকোপের কারণে কখনো বা বিদেশ মন্ত্রকের আপত্তিতে ট্রেন চলাচল শুরু করা যায়নি। এবার রেলের তরফে চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে যে আগামী ১ লা জুন সকালবেলা ১১ টা ৪৫ মিনিটে মিতালী এক্সপ্রেস এনজেপি থেকে ছাড়বে।
ভারত ও বাংলাদেশের রেলমন্ত্রীরা ভার্চুয়াল প্রক্রিয়ায় ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দত্ত বলেন, “বুধবার এবং রবিবার এনজেপি থেকে মিতালী এক্সপ্রেস ছাড়বে ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বৃহস্পতিবার এবং সোমবার ছাড়বে।
১ লা জুন অর্থাৎ বুধবার এনজেপিতে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। তাতে ভারত ও বাংলাদেশের দুই রেলমন্ত্রী ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যোগ দেবেন।” মিতালী এক্সপ্রেসের টিকিট অন্যান্য ট্রেনের মতো কোনো মোবাইল অ্যাপ অথবা অনলাইনে পাওয়া যাবে না।
নিউ জলপাইগুড়ি এবং কলকাতা স্টেশন থেকে টিকিট পাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে চলাচলকারী এই ট্রেনের টিকিট কাটতে ভিসা ও পাসপোর্ট সহ নানা প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। সেই কারণে শুধুমাত্র বৈদেশিক কাউন্টার রয়েছে এমন স্টেশন থেকেই মিতালী এক্সপ্রেসের টিকিট পাওয়া যাবে।
দশ কামরার এই ট্রেনে দু’টি পণ্যবাহী কামরা এবং জেনারেটর থাকছে। বাকি সবক’টি কামরাই বাতানুকূল। আটটি বাতানুকূল কামরার মধ্যে চারটি প্রথম শ্রেণীর ও বাকি চারটি চেয়ার কার। নতুন কোচ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। সবক’টি কামরায় অত্যাধুনিক নানা পরিষেবা থাকবে।
রেল সূত্রের তরফ থেকে জানা গেছে, মিতালী এক্সপ্রেসে স্বয়ংক্রিয় দরজা-যুক্ত কামরা দেওয়া হতে পারে। ট্রেনের ভিতরে ইংরেজীর পাশাপাশি বাংলাতেও নির্দেশিকা থাকবে। মিতালী এক্সপ্রেসের জন্য বিশেষ কোচ তৈরী হচ্ছে।
কোনো কারণে প্রথম দিন থেকে যদি বিশেষ কোচ দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে অন্য অত্যাধুনিক কামরা দিয়ে প্রথম কয়েকদিন চালানো হতে পারে। যদিও দু’-এক দিনের মধ্যে সব ব্যবস্থা পুরোপুরি ঠিক হয়ে যাবে।