নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সিকিমঃ প্রবল বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমের চুংথাংয়ের কাছে পেগংয়ে রাস্তায় ধস নেমেছে। রাস্তার উপর দিয়ে প্রবল গতিতে ঝর্নার জল বইছে। ফলে লাচুং, লাচেন, মংগন ও ইয়ুমথাংয়ের সাথে সিকিমের অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়ে বহু গাড়ি সহ বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন।
জাতীয় সড়ক থেকে ধস সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চলছে। এমন আবহে গতকাল উত্তর সিকিমে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা জানান, ‘‘উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকা ধসে বিপর্যস্ত। এমন বৃষ্টি হচ্ছে যে, আগামী পাঁচ দিন পরিস্থিতি খুব একটা স্বাভাবিক হবে না। উত্তর সিকিমে অতিভারী বর্ষণ হবে।
উত্তরবঙ্গেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গ এবং সংলগ্ন সিকিম জুড়ে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে যা উত্তর বঙ্গোপসাগর অবধি বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই অঞ্চলে জলীয় বাষ্প ঢোকায় জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।’’
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্টের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘উত্তর সিকিমের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ। বিভিন্ন এলাকা ধসের কবলে। আমরা খোঁজ নিচ্ছি পর্যটকদের পরিস্থিতি কি বা কোথায় কত জন পর্যটক আটকে রয়েছেন।’’ সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘উত্তর সিকিমে ধস সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।’’
কালিম্পঙে রাতভর বৃষ্টির ফলে তিস্তা ও রংফু নদীর জলস্তর বেড়েছে। ফলে জেলা প্রশাসন ওই নদীগুলিতে লাল সতর্কতা জারি করেছে। কালিম্পঙের জেলাশাসক আর বিমলা বলেছেন, ‘‘তিস্তা সহ বেশ কয়েকটি পাহাড়ি নদীর জলস্তর বেড়েছে। ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা থেকে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। আমরা সতর্ক।’’