ব্যুরো নিউজঃ পাকিস্তানঃ পাকিস্তানের দক্ষিণ পূরবাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে শিক্ষকের অভাবে প্রায় ৬ হাজার ৮৬৬ টি বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে। এখানের বিভিন্ন জেলায় ৩২ হাজার ৫১০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের পদ ও ১৪ হাজার ৩৯ টি জুনিয়র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। এ ছাড়া এই প্রদেশটিতে ৭ হাজার ৯৭৪ টি স্কুল অকার্যকর।
সম্প্রতি পুরো বিষয়টি সিন্ধু হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে। স্কুল শিক্ষা সচিব সিন্ধু শিশুদের জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে শিক্ষা আইন ২০১৩ বাস্তবায়নের দাবীতে অধিকার কর্মী এবং সংগঠনগুলোর দায়ের করা একই ধরনের পিটিশনের বিষয়ে মন্তব্য দাখিল করছিলেন।
এর আগে সিন্ধু হাইকোর্ট স্কুল শিক্ষা সচিবকে প্রদেশজুড়ে কতগুলো বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ও সেগুলো পুনরায় খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল।
স্কুল শিক্ষা সচিব আদালতকে জানান, “সিন্ধু মন্ত্রিসভা টিচিং স্টাফের সদস্যদের বদলি এবং নিয়োগের জন্য একটি অনলাইন নীতি অনুমোদন করেছে। এই নতুন নীতি অনুযায়ী যেখানে শিক্ষকের অভাব আছে কেবলমাত্র সেখানে শিক্ষকদের উদ্বৃত্ত শিক্ষক-কর্মচারী হিসাবে বিদ্যালয় থেকে বদলি করা হবে”।
এছাড়া তিনি বলেন, “যে সব স্কুল থেকে শিক্ষকদের বদলি করা হচ্ছে তাদের বদলির মাধ্যমে বিদ্যালয় পুনরায় খোলার প্রক্রিয়া চলছে। এর ফলে প্রদেশের বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে”।
পর্যবেক্ষণ বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছে, লারকানার বহু বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও শিক্ষকরা কোনো কাজ না করে তাদের বেতন নিয়েছেন। পাবলিক বিদ্যালয়ের অবস্থা সন্তোষজনক নয়। তাই স্কুল শিক্ষা সচিবকে নিছক কাগজপত্রের পরিবর্তে সুদৃঢ় প্রচেষ্টা করতে বলা হয়েছে যাতে দরিদ্র শিশুরা আইন থেকে উপকৃত হতে পারে ও বিনামূল্যে শিক্ষা লাভ করতে পারে।
এই প্রসঙ্গে কর্মকর্তা তার মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন যে, সরকার সারা প্রদেশ জুড়ে ৪৫ লাখ শিশুকে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করছে এবং পাঁচ থেকে ষোলো বছর বয়সী পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করা হচ্ছে।
এমনকি তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, “ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও অন্যান্য সংস্থার সহযোগীতায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের বাইরের শিশুদের ভর্তি করার জন্য প্রাদেশিক সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে”।