চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ অপেক্ষার আর মাত্র এক মাস বাকি। এরপরই বাংলার শ্রেষ্ঠ উত্সব দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় খুঁটিপুজো শুরু হয়ে গেছে।
কিন্তু করোনা মহামারীর মধ্যে চলতি বছরেও পুজোর তেমন চাকচিক্য হয়তো চোখে পড়বে না। পুজোর গাইডলাইন্স হিসেবে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, “কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও আইআইটি খড়গপুর সার্ভে করেছিল দুর্গাপূজায় গড়ে ৩২ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা খরচ হয়। জেলার পুজোগুলিরও তুমুল প্রশংসা করেন। গতবারের মতোই সমস্ত করোনা বিধিনিষেধ জারি রয়েছে”।
১) বিদ্যুতের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে।
২) পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে।
৩) পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকার পুজো কমিটিগুলিকে দমকলের জন্য কোনো ফি দিতে হবে না।
৪) গত বছরে যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিলো চলতি বছরেও সেই সমস্ত সু্গুযোগ-সুবিধা বজায় থাকছে।
এছাড়া গত বছর দুর্গাপুজোর কার্নিভাল বন্ধ ছিল। চলতি বছর কার্নিভাল হবে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, “পরিস্থিতি বিচার করে ভোটের পর এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”।
তবে এদিনের এই ঘোষণার পর বিরোধীদের অনেকেই বলছেন যে, “আরো একবার রাজ্য সরকার খয়রাতিতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে”।