চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ ফাল্গুনী পান, রূপা চক্রবর্তী ও সোমনাথ সৌ নামের তিন জন পড়ুয়াকে বরখাস্তের প্রতিবাদে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের একাংশ অবস্থান বিক্ষোভ করে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন যে, “দাবী পূরণ না হওয়া অবধি এই অনশন চলবে”।
আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখল মান্থার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা অন্দোলনের বিষয়ে নির্দেশ দিলেন যে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা কোনোপ্রকার বিক্ষোভ করতে পারবেন না। এছাড়া বিশ্বভারতীর তিন ছাত্রের বরখাস্তের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আর আপাতত ওই তিন জন পড়ুয়া ক্লাস করতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর পাশাপাশি বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য যাতে নষ্ট না হয় সেই বিষয়টি পড়ুয়াদের মাথায় রাখতে হবে কারণ বিশ্বভারতী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে রাজনৈতিক কোনো আন্দোলন করে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য নষ্ট করা যাবে না।
এদিন ভিসির উদ্দেশ্যেও রাজাশেখল মান্থার বলেছেন, “ছাত্র বা অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত কদর্য মন্তব্য অথবা বিরূপ প্রতিক্রিয়া করেছেন তা থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। যদি তিনি মনে করেন তিনি আইনের উর্ধ্বে তবে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে উপযুক্ত শিক্ষা দেবে। রাজনীতি থেকে পড়ুয়াদের দূরে রাখতে হবে। এটা পড়াশোনা করার সময়। পড়তে দিতে হবে”।
১৫ ই সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবার আগামী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ছাত্রদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বিশ্বভারতী চত্বরের বদলে রেল স্টেশনে আন্দোলন করতে দেওয়ার আর্জি জানালে বিচারপতি সেই আর্জিও খারিজ করে দেন।