জেনে নিন ভেজানো কালো কিশমিশের গুণাগুণ

Share

মিনাক্ষী দাসঃ সাধারণত কিশমিশ হালকা বাদামী রঙেরই বেশী দেখা যায়। এই কিশমিশ সবুজ রঙের আঙুরকে রোদে শুকিয়ে বা কারখানায় প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তৈরী হয়। আর কালো কিশমিশ কালো অথবা গাঢ় বেগুনী রঙের আঙুর শুকিয়ে তৈরী হয়।

যেকোনো গাঢ় রঙের ফল, বিশেষ করে বেগুনী রঙের খাবারে অ্যান্থোসায়ানিন সহ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও থাকে। যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কার্যকরী। এছাড়া মস্তিষ্ক ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। এমনকি, বেশ কয়েক ধরণের ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। এই কালো কিশমিশে খনিজ এবং ভিটামিনের উপস্থিতি বেশী থাকে।

পাশাপাশি কিশমিশ ভিজিয়ে খেলে কিশমিশে থাকা সমস্ত ধুলো-ময়লা কিংবা রাসায়নিক দূর হবে। তার সমস্ত পুষ্টিগুণ শরীরের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে। আর কিশমিশ জল শুষে ফুলে থাকায় শরীরও আর্দ্র রাখবে। তাই প্রতিদিন সকালবেলা ছ’ থেকে সাতটি ভেজানো কালো কিশমিশ খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে। তবে কিশমিশ ভালো করে ধুয়ে জলে ভেজাতে হবে।


অন্যান্য উপকারীতাঃ

হজম শক্তিঃ ভেজানো কালো কিশমিশে ফাইবার বেশী থাকায় তা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সকালবেলা খালিপেটে খেলে উপকারীতা আরো বাড়ে।


হার্টঃ খালিপেটে ভেজানো কালো কিশমিশ খেলে শরীরে অ্যান্থোসায়ানিন পূর্ণ মাত্রায় থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে উদ্বেগ কমায়। হাইপারটেনশন দূরে থাকায় হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

ক্যানসারঃ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ক্যানসার প্রতিরোধে কাজে লাগে। কালো কিশমিশে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় ক্যানসারের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।


দাঁত-মাড়িঃ কালো কিশমিশে ওলেয়ানোলিক অ্যাসিড থাকে। যা দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে উপকারী। এমনকি মুখে জন্মানো অনুজীব ও ব্যাক্টেরিয়াকে মারতে সাহায্য করে। ফলে মুখে দুর্গন্ধের মতো সমস্যা দূরে থাকে।

আয়রনের মাত্রাঃ কালো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। যা শরীরে গেলে লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। সার্বিক কর্মশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আর খালি পেটে ভেজানো কিশমিশ খেলে তার থেকে শরীরের আয়রন গ্রহণ করতে সুবিধা হয়।

ত্বকের স্বাস্থ্যঃ কালো কিশমিশে ভিটামিন সি এবং অ্যান্থোসায়ানিন নামের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে যা জোরালো প্রদাহনাশকও। এতে শরীরে ফ্রি র‍্যাডিক্যালসের আনাগোনা কমে। আর ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ত্বক উজ্জ্বল, টানটান থাকে।

স্ত্রীরোগঃ কালো কিশমিশ রক্ত পরিস্রুত করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা নানা ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। ফলে গর্ভাশয় এবং জরায়ুতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। পিসিওএস, অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা সহ ঋতুস্রাবের সময় রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031