অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ একদিকে করোনার মতো অতিমারীতে জেরবার বাংলা। এরই মধ্যে আমফানের স্মৃতি টেনে এনে আবহাওয়া দপ্তর বাংলায় পুনরায় বড়োসড়ো ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিল। যা ‘যশ’ নামে পরিচিত।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যায়, দেশের পশ্চিম উপকূলে তাণ্ডব চালানোর পর এবার পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে শুরু করেছে। আর এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করতে পারে। নিম্নচাপ বলয়ের কারণে আগামী ২৩ শে মে রবিবারের মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবন উপকূল এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereফলে আগামী সপ্তাহে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও ব্যাপক ঝড়জলের পূর্বাভাস রয়েছে। এমনকি পূর্ণ শক্তিতে এই ঘূর্ণিঝড় আমফানের চেয়েও আরো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। তবে সুন্দরবন হয়ে ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর অর্থাত্ বাংলাদেশের দিকে ঘুরে যেতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.২ ডিগ্রী থাকবে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৭ ডিগ্রী থাকবে। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৯ শতাংশ।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereআজ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি অর্থাৎ মালদা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুত্-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর বর্ষা কিছুটা আগে প্রবেশ করতে চলেছে। জুন মাসের প্রায় প্রথম সপ্তাহ নাগাদ দেশে পুরোপুরি বর্ষা প্রবেশ করে যাবে। আর ৮ ই জুন পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করবে।