নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুম্বইঃ এবার ২০০ কোটি টাকা তছরুপের মামলার চার্জশিটে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের নাম জড়িয়ে পড়ায় ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে একটি অতিরিক্ত চার্জশিট দায়ের করে। এপ্রিল মাসে ইডির নগদ ১৫ লক্ষ টাকার পাশাপাশি তাঁর ৭.২৭ কোটির ফান্ডও নজরে এসেছিল।
‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের’ আওতায় এই সম্পদও বেআইনী হিসাবে দেখা হচ্ছে। ইডির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, জ্যাকলিনকে সুকেশ চন্দ্রশেখর যে প্রায় ৫.৭১ কোটি টাকার উপহার দেন তা পুরোটাই বেআইনী টাকায় কিনেছিলেন।
অতএব, ইডির দায়ের করা চার্জশিটটি বিবেচনা করে জ্যাকলিনকে ‘দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট’ অভিযুক্ত হিসাবে সাব্যস্ত করেছে। অন্য দিকে ১২ ই সেপ্টেম্বর তাঁকে দিল্লি পুলিশ আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য তলব করেছে। এছাড়া ফিক্সড ডিপোজিট সহ সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিদেশযাত্রার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে ইতিমধ্যেই জ্যাকলিনের আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল দাবী করেছেন, ‘‘জ্যাকলিন ষড়যন্ত্রের শিকার, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।’’ জ্যাকলিন এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘সুকেশের সংস্পর্শে আসার আগেই নিজের আয় থেকে বিনিয়োগ করেছিলেন। ফিক্সড ডিপোজিটে থাকা ৭.২ কোটি টাকার সবটাই নিজস্ব সম্পত্তি।’’