নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ভোপালঃ ৫ বছর বয়সী শিশুর উপরে চলল পাশবিক অত্যাচার! নির্মম অত্যাচারে শিশুটির যৌনাঙ্গ ছিড়ে ফালাফালা হয়ে গিয়েছিল, শরীর জুড়ে ক্ষত, কামড়ানোর দাগ। ধর্ষণের অভিযোগ উঠল নাবালকের বিরুদ্ধে, যাকে দাদা বলেই সম্মোধন করত ওই শিশু। বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চলছে তাঁর।
এতটা নৃশংসও কেউ হতে পারে! মধ্য প্রদেশের ঘটনায় এই প্রশ্নই আসবে বারবার। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই শিশু। গোটা পাড়া যখন তাঁর খোঁজ করছে, তখন প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদেই শিশুটিকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। কাছে যেতেই দেখা যায়, গোটা শরীর রক্তে ভাসছে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটির অবস্থা দেখে শিউরে ওঠেন চিকিৎসকরাও। দুই ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে শিশুটিকে স্থিতিশীল করা হয়। তাঁর কোলোস্টমি করাতে হয়েছে, যৌনাঙ্গে পড়েছে ২৮টি সেলাই। মাথায় গভীর চোট রয়েছে শিশুর, এছাড়া সারা শরীরে একাধিক ক্ষত রয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এখনও শিশুটির অবস্থা সঙ্কটজনক। জ্ঞান ফিরলেও, সে কোনও কথা বলছে না। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায়, তাকে জুভেনাইল হিসাবেই আদালতে তোলা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের সময় অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিল। একাধিকবার সে শিশুকন্যার মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চালায় পাশবিক অত্যাচার। এদিকে, শিশুকন্যার পরিবার অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজার দাবি করেছে। শিশুকন্যার মা বলেছেন, “ওকে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে মারা উচিত”। স্থানীয় বাসিন্দারাও ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিক্ষোভ দেখান। কংগ্রেস ও বিজেপির তরফেও ফাস্ট ট্রাক কোর্ট এবং অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here