মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ এবার শনিবার গভীর রাতে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন সংলগ্ন সুভাষ নগর বাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। এই বিধ্বংসী আগুনে ১০০ টির বেশী দোকান সহ ৮-১০ টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যার জেরে চারিদিক ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যবসায়ী সন্তোষ সিং জানান, “গতকাল তিনি নিজের ডিমের দোকানেই শুয়েছিলেন। এরপর আচমকা রাত প্রায় দুটো-আড়াইটে নাগাদ তার গায়ে আগুনের তাপ লাগতেই তড়িঘড়ি দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন পাশের দোকানগুলিও দাউ দাউ করে জ্বলছে। অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও দ্রুত দোকান থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর স্থানীয় গার্ডদের খবর দেওয়া হয়। এছাড়া দমকল কর্মীদেরও খবর দেওয়া হয়”।
কিন্তু উত্তুরে হাওয়ার দাপটে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তবে প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা সহ বাজারের কর্মীরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। তবে ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখায় ১০০ টিরও বেশী দোকান একেবারে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
খবর পাওয়া মাত্রই প্রথমে ঘটনাস্থলে দমকলের ২-৩ টি ইঞ্জিন এসে পৌঁছালেও পরে আরো ৬ টি ইঞ্জিন এসে পৌঁছায়। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দমকল বাহিনীকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটা সময় লাগে। ফলে দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দমকল আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই এই বিপত্তি ঘটে। দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই দোকানগুলি বেশীরভাগই অস্থায়ী। ফলে মনে করা হচ্ছে সেখানে অগ্নিনির্বাপনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। আর ওই বাজারে আগুন নির্বাপক কোনো যন্ত্র ছিল ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বছরের শুরু থেকেই কলকাতা এবং তার সংলগ্ন এলাকায় এই ধরণের ঘটনা অসংখ্য মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এই ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকা জুড়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ সকালে ঘটনাস্থলে প্রাক্তন পুরপিতা ধনঞ্জয় মজুমদার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানিয়ে দিয়েছেন যে, “সরকারী তরফ থেকে পুড়ে যাওয়া দোকানের ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের জন্য যতটা সহযোগীতা করা যায় সেই প্রচেষ্টা তিনি করবেন”।