রায়া দাসঃ কলকাতাঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ও মেধাতালিকায় নানা ভুল-ত্রুটির অভিযোগ ওঠায় কলকাতা হাইকোর্ট ১৬৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল।
প্রসঙ্গত বলা যায় যে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ঘোষণা করার পরই ১০ ই জানুয়ারী থেকে ১৭ ই জানুয়ারী পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ হয়। এরপর শীঘ্রই ফোন এবং এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ শুরু হয়। মেধাতালিকাও সঠিকভাবে প্রকাশ্যে আনা হয়নি। গত ১৬ ই ফেব্রুয়ারী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচীব ১৬৫০০ জনের মধ্যে ১৫২৮৪ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলেও বাকি ১২১৬ জনের মেধাতালিকা পরে প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া এই মেধাতালিকা প্রকাশের পর বেশ কিছু চাকরীপ্রার্থীকে চাকরীর নিয়োগপত্রও দিয়ে দেওয়া হয়।
এই বেআইনীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলার অভিযোগ তুলে চাকরীপ্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে মোট ছ’টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এর ফলস্বরূপ মামলাকারীদের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এই প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেন। আর চার সপ্তাহ পর আবার এই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়।
মামলাকারীদের একজন আইনজীবী বলেছেন, “আমাদের কাছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে স্বচ্ছতার অভাব আছে ও নিয়োগ প্রক্রিয়া যে সম্পূর্ণভাবে বেআইনী পন্থায় চলছিল তার প্রমাণ আছে৷ আর ইতিমধ্যেই সব প্রমাণ আদালতকে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ভবিষ্যতে পাওয়া বাকি তথ্য প্রমাণও আদালতের কাছে তুলে দেওয়া হবে”।