নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুম্বইঃ সপ্তাহের শুরু থেকেই মুম্বই জুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। গতকাল থেকে বৃষ্টিপাতের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। আর মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচ দিন বিভিন্ন অংশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে।
আইএমডি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোলাবায় ২৩.৪ মিলিমিটার ও সান্তাক্রুজে সর্বোচ্চ ১০৭.৪ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আজকের দিনের জন্য কমলা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। মূলত থানে, পালঘর, রায়গড়ের মতো এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরী হওয়া নিম্নচাপের জেরে মহারাষ্ট্র উপকূল বেয়ে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাবে। তাই বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বাড়বে।
গত সোমবার থেকেই চেম্বুর, ঘাটকোপার, গান্ধী মার্কেটের মতো মুম্বইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে আছে। আন্ধেরির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাবওয়ে ও আন্ডারপাস জলের তলায়। ফলে যান চলাচল, উড়ান পরিষেবা সহ ট্রাফিক পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। জনজীবনও প্রায় থমকে আছে।
মহারাষ্ট্রের থানে অথবা পালঘর জেলার পাশাপাশি মুম্বই বাইপাস থেকেও একাধিক ধসের খবর মিলেছে। থানে পুরসভার চেয়ারম্যান সন্তোষ কদম বলেন, “প্রবল বৃষ্টির জেরে গাছ ভেঙে পড়ায় আহত হয়েছেন ৬ জন ব্যক্তি। তিনটি জায়গায় পাঁচিল ভেঙে পড়েছে”।
ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গা থেকেও মৃত্যু এবং ছোটো-বড় দুর্ঘটনার খবরও এসেছে। গতকাল সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের দাহিসারের লোখান্ডি চাওলে বাড়িচাপা পড়ে মারা যান ১ জন যুবক। আবার ম্যানহোলে পা হড়কে পড়ে আহত হয়েছেন ২ জন মহিলা। ঘটনাটি জানতে পেরে বৃহন্মুম্বই পুরসভা শহরের সমস্ত জায়গার ম্যানহোল পর্যবেক্ষণের কাজ শুরু করেছে।
অতিভারী বৃষ্টিপাতের জেরে রাজ্যের বেশ কিছু নীচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হওয়ায় আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রায়গড়ের ২০ টি গ্রামের এলাকাবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।