মিনাক্ষী দাসঃ সরস্বতী পুজোর পরের দিন পালন করা হয় শীতল ষষ্ঠী। অনেকের বাড়িতেই শীতলষষ্ঠী পালনের নিয়ম রয়েছে। এদিন মায়েরা সন্তানের মঙ্গল কামনায় ব্রত করেন। এছাড়া শীতকালের পরই বসন্তকাল আসে। আর এই সময় জীবাণু সংক্রমণ বেশী হওয়ায় শরীরে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়। তাই শরীর সুস্থ থাকতে ও জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পেতে এই সব্জি সেদ্ধ খাওয়ার চল রয়েছে।
এই ব্রতের অন্যতম নিয়ম হলো ঠান্ডা খাবার খাওয়া। শীতলষষ্ঠীর দিন বাড়িতে উনুন জ্বালানো হয় না। তাই আগের দিন রাতে গোটা সেদ্ধ রান্না করে রাখা হয়। এই গোটা সেদ্ধর তালিকায় ছয় রকম মরসুমি সব্জি থাকে। তাই জেনে নেওয়া যাক গোটা সেদ্ধ তৈরীর প্রণালী।
উপকরণঃ ৬ টি শিম, ৬ টি ছোটো আলু, ৬ টি রাঙা আলু, ৬ টি কড়াইশুঁটি, ৬ টি ছোটো বেগুন, ৬ আঁটি কচি পালংশাক, ১ চা চামচ হলুদ, ১ চা চামচ আদা কুচি, ২ চা চামচ পাঁচ ফোঁড়ন, আধ কাপ কাঁচা মুগডাল, স্বাদ মতো চিনি, সামান্য সর্ষের তেল এবং পরিমাণ মতো নুন।
প্রণালীঃ এরপর ডাল ও সমস্ত সব্জিগুলি ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর প্রেশাক কুকারে ডাল এবং পরিমাণ মতো জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ডাল সেদ্ধ হয়ে এলে সব সব্জি, চিনি, নুন, হলুদ ও আদা বাটা দিয়ে দিতে হবে। এরপর মাঝারি আঁচে কমপক্ষে আধ ঘণ্টা সেদ্ধ করতে হবে।
কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যাতে ডাল এবং সব্জি একসাথে ঘেঁটে না যায়। কারণ এই সব্জিগুলি গোটা থাকা প্রয়োজন। সব শেষে সেদ্ধ হয়ে এলে উপর থেকে পাঁচ ফোঁড়ন ও ২ টেবিল চামচ কাঁচা সর্ষের তেল ছড়িয়ে দিতে হবে। এর পর ঠান্ডা হয়ে গেলেও খাওয়ার সময় সর্ষের তেলের একটা আলাদা স্বাদ ও গন্ধ পাওয়া যাবে।