ব্যুরো নিউজঃ গ্রীনল্যাণ্ডঃ পৃথিবীর সবথেকে উত্তরের ভূমি গ্রীনল্যান্ড। গত মাসে বিজ্ঞানীরা সেখানে গবেষণা করার সময় একটি নতুন দ্বীপের সন্ধান পেয়েছেন। গবেষকদের মতানুযায়ী ওই দ্বীপটিই পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরের স্থলভাগ।
সমুদ্রের কাদামাটি ও পাথরের টুকরো দিয়ে এই ভূখণ্ড তৈরী হয়েছে। এই দ্বীপের আয়তন মাত্র ৩০ মিটার। সমুদ্রতল থেকে এই দ্বীপের সবচেয়ে উঁচু স্থানের উচ্চতা মাত্র তিন মিটার। গবেষকরা সুপারিশ করেছেন, নতুন এই দ্বীপের নাম “কিকার্তাক আভাননার্লেক” রাখা হোক। গ্রীনল্যান্ডের স্থানীয় ভাষায় এর মানে হলো “সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপ”।
গবেষকদের মতে, “দীর্ঘদিন দ্বীপটি বরফ দিয়ে ঢাকা ছিল। কিন্তু বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে বরফ গলে যাওয়ার ফলে দ্বীপটি বিজ্ঞানীদের নজরে এসেছে। কানাডা, রাশিয়া, ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলির আরো ৭০০ কিলোমিটার উত্তরের সমুদ্র তটে শিপিং রুট, মাছ ধরার কাজ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উত্তরের বরফ গলতে থাকায় নতুন এই দ্বীপের আবিষ্কার করা গিয়েছে”।
পোলার এক্সপ্লোরার এবং গ্রীনল্যান্ডের আর্কটিক স্টেশন রিসার্চ ফেসিলিটির প্রধান মর্টেন রাশ জানান, “নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করব এটা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা শুধু ওখানে নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম ১৯৭৮ সালে ডেনমার্কের সার্ভে টিমের আবিষ্কৃত ওডাক দ্বীপে পৌঁছেছি তবে পরে নিজেরদের সঠিক অবস্থান অনুসন্ধানের পর বুঝতে পারা যায় উত্তর-পশ্চিম থেকে ৭৮০ মিটার দূরে একটি নতুন দ্বীপে অবস্থান করছি”।
নতুন এই গবেষণার স্পনসার সুইত্জাল্যান্ডের ব্যবসায়ী ক্রিস্টিন লেস্টার বলেন, “ওডাক দ্বীপে পৌঁছাতে পেরে সবাই খুশী হয়েছিল”।