নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁকুড়াঃ প্রতিনিয়ত হাতির পাল হেক্টরের পর হেক্টর জমির ফসল এসে নষ্ট করে দিয়ে যাচ্ছে। আর আজ বাঁকুড়ার সংগ্রামপুরের প্রায় শতাধিক কৃষকরা এই অভিযোগেই সংগ্রামপুরের বীট অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন।
এমনিতেই একটানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মাঠে জল জমে ফসল নষ্ট হয়েছে। এর উপর হাতির দলের তাণ্ডবে কৃষকদের রাতের ঘুম ছুটেছে। এই বিষয় মাথায় রেখেই বনকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছিল। এছাড়াও টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তা সত্ত্বেও গ্রামবাসীর অভিযোগ, “৮৭ টি হাতি খাবারের খোঁজে পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা পেরিয়ে প্রায় বাঁকুড়ায় ঢুকে পড়েছে। বিষ্ণুপুর, জয়পুর ও সোনামুখী হয়ে দারকেশ্বর নদ ডিঙিয়ে এখন সংগ্রামপুরে হাজির হয়েছে। গত প্রায় ২০ থেকে ২২ দিন ধরে এখানেই হাতির দল আছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচশো হেক্টর জমির ধান নষ্ট করেছে। প্রতিদিন হাতির দল খাবারের সন্নধানে মাঠের মধ্যে ঢুকে ফসল খেয়ে জমির দফারফা করে চলে যাচ্ছে। আবার পরের দিন অন্য গ্রামে জমির ফসল খেতে চলে যাচ্ছে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তাই বাধ্য হয়ে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা দাঁতালদের এলাকা থেকে সরানোর দাবী তুলে সংগ্রামপুরের বীট অফিসে বিক্ষোভ দেখান। এই বিক্ষোভের পর বনকর্মীরা নড়েচড়ে বসেন। গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেওয়া হয় যে হাতিদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। এরপরই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ তুলে নেন।
বন দপ্তরের একজন আধিকারি জানান, “কয়েক বছর আগে আসলে হাতির হানা ঠেকাতে শীতলা বীট এলাকায় ইলেকট্রিক ফেন্সিং দেওয়া হয়েছিল। সেই ইলেকট্রিক ফেন্সিং পেরিয়ে হাতির দল আর এগোতে পারছে না। আবার বন দপ্তর এবং স্থানীয় মানুষের বাধায় হাতির দল পিছোতেও পারছে না। ফলে প্রত্যেকদিন হাতির দল সংগ্রামপুরে ফসলের জমিতে হানা দিচ্ছে”।