নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা জলমগ্ন। বৃষ্টির পাশাপাশি একাধিক ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে অনেক গ্রাম সহ চাষের জমি প্লাবিত হয়েছে। তেমনই মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার কয়েক হেক্টর চাষের জমিও একেবারে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তাই আমন ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অতি সম্প্রতি কান্দি মহকুমা এলাকায় জমিতে আমন ধান বোনা হয়েছে। এদিকে বৃষ্টি ও ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে সদ্য আমন লাগানো জমিতে দুই থেকে চার ফুট অবধি জল দাঁড়িয়ে আছে। আর এই জলের ফলে কান্দি মহকুমার বড়ঞার সুন্দরপুর, কুরুননুরুন পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার আমনের জমির অবস্থা একেবারে শোচনীয় হয়ে গেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কান্দির হিজল এলাকার ১০ টি মৌজা প্লাবিত হয়েছে। ভরতপুর গড্ডা এবং আলুগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ১৫ টি মৌজা প্লাবিত হয়েছে। কয়েকদিন ধরে ওই এলাকাগুলিতে থাকা আমন ধানের জমি জলের তলায় থাকায় আমনের চারা আর বাঁচানো সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আজ সকালেও বড়ঞা, খড়গ্রাম ও ভরতপুর ব্লকের একাধিক গ্রামে নতুন করে জল ঢোকে। ভরতপুরের কৃষি অধিকর্তা শাহানুর রহমান বলেন, “এলাকার ২০ টি মৌজার আমন চাষের জমি বৃষ্টি ও বন্যার জলে ডুবে রয়েছে। ফলে দ্রুত জমি থেকে জল না নামলে আমনের চারা বাঁচানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ফের নতুন করে চারা রোপণ করতে হবে। যদিও আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এ প্রসঙ্গে এক চাষীর কথায়, “এখনো আমনের জমির উপর তিন ফুট জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে আমনের চারা আর বাঁচানো যাবে না। এরপর পুনরায় চাষ করতে গেলে নতুন করে চারা পেতে সমস্যা হবে। এই চাষের উপর সারা বছর সংসার চলে। কয়েকদিন আগের রোয়া ধান নষ্ট হয়ে গেলে কি হবে জানি না”। তাই নিরুপায় চাষীরা এখন সরকারী সাহায্যের আশায় দিন কাটাচ্ছেন।