স্কুল বন্ধ থাকলেও বিদ্যুৎ এর বিল উঠেছে প্রায় লাখখানেক

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ প্রায় তিন বছর আগে ওয়েস্টবেঙ্গল রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভলপমেন্ট এজেন্সি পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিদ্যালয়ে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ তৈরী করছে। তাতে বিদ্যালয়ের খরচ সাশ্রয় করার পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও লাগাবে।   

কিন্তু করোনা আবহের জন্য বিদ্যালয় দু’বছর বন্ধ থাকলেও মাধবডিহির একলক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৮ হাজার ৭৮৮ টাকার বিল দেখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাথায় হাত পড়েছে। আর এই বিল দিতে না পারায় রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা তিন মাস আগে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটেও দিয়েছে।  


বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সোলার প্যানেল অকেজো হয়ে গেছে। সৌর বিদ্যুৎও উৎপন্ন হচ্ছে না। ফলে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম অর্থাৎ কম্পিউটার ক্লাস হচ্ছে না, পাম্প না চলায় শৌচাগারেও জল পাওয়া যাচ্ছে না ও অনলাইনে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।


এদিকে বিদ্যুৎ বিলে সাশ্রয়ের সাথে উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা নিয়ে নেবে এই ভরসাতেই সৌর প্যানেল লাগানো হয়েছিল। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বিদ্যালয় কতটা বিদ্যুৎ নিয়েছে, কতটা গ্রিডে পৌঁছেছে এর হিসাব না করেই বিদ্যুৎ এর বিল পাঠানো হয়েছে।


বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, পুজো অথবা গরমের ছুটিতে বিদ্যালয় বন্ধ থাকে। তখন সৌরশক্তিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরাসরি বিদ্যুৎ দপ্তরের পাওয়ার গ্রিডে চলে যায়। বিদ্যালয় বিদ্যুৎ কতটা ব্যবহার করছে আর দপ্তর কতটা নিচ্ছে তা হিসাব রাখার জন্য ‘ইম্পোর্ট-এক্সপোর্ট মিটার’ কিংবা বা ‘নেট মিটার’ থাকে। এতে হিসাব করে বিল মেটাতে হয়। 

অবশ্য বিদ্যুৎ দপ্তর জানিয়েছে, ‘‘ওই বিদ্যালয়ের বিলে কোনো গোলমাল হয়নি। পঠনপাঠন বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয় খুলেছে। যদিও অভিযোগ পেয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়েছে। গ্রিডে আসা বিদ্যুৎ বাদ দিয়েই বিল পাঠানো হয়েছে। জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শ্রীধর প্রামাণিক বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’’    

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930