মিনাক্ষী দাসঃ চা ছাড়া দিন চলে না। ঘুম থেকে উঠতেই চা লাগবেই। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা চা একদমই পছন্দ করেন না। তবে বর্ষার শুরুতে সর্দি-কাশির আশঙ্কা থেকেই যায়। আর করোনা আবহে সর্দি-কাশি হওয়া আতঙ্কের বিষয়। তাই সুস্থ থাকতে আপনাদের কয়েকটি বিশেষ ধরণের চায়ের কথা জানাবো।
এই চা সুস্থ থাকার এক দারুণ টোটকা। যা একদিকে শরীরকে সুস্থ রাখে। অপরদিকে শরীরে ইমিউনিটির মাত্রা বজায় রাখে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
Sponsored Ads
Display Your Ads Here১) গ্রিন টিঃ গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ। গ্রিন টি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণেই রাখে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। হজমে করতে সাহায্য করে। ত্বক ও চুল ভালো থাকে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here২) আদা চাঃ আদা চা পান করলে হার্ট নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্তচাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। সর্দি-কাশির সময় দারুণ উপকারী। ধমনিতে চর্বি জমা থেকে আটকায়। হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
৩) তুলসী চাঃ তুলসী চা সর্দি-কাশি,গা-হাতপা ব্যথার মতো শারীরিক ব্যধি থেকে উপশম ঘটায়।
৪) পুদিনা চাঃ পুদিনা পাতার মূল, পাতা, কান্ড-সহ সমগ্র গাছই ঔষধিগুনে পরিপূর্ণ। পুদিনার মধ্যে থাকা মেন্থল খুব উপকারী। তাই আদা বা লিকার চায়ের মধ্যে পুদিনা পাতা মিশিয়ে খানিকক্ষণ ঢেকে রেখে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। পুদিনা চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। পুদিন চায়ে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়।
৫) ক্যামোমাইল চাঃ ক্যামোমাইল চা একধরণের ফুল থেকে তৈরী হয়। ক্ষতিকারক ক্যাফেন থাকে না। ক্যামোমাইল চা পান করলে ঘুম ভালো হয়। স্নায়ুর উত্তেজনা কম থাকে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু গর্ভবর্তী মহিলারা পান করবেন না।
ক্যামোমাইল চা কাঁচের জারে সংরক্ষণ করে ঠান্ডা পরিবেশে রাখতে হয় যাতে সূর্যের আলো না লাগে।
৬) জবা ফুলের চাঃ জবা ফুলের চায়ে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন C, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। ক্যানসারের প্রবণতা কমায়। লিভারের রোগ সারায়। হজমের সমস্যাও দূর করে। উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা কমায়। উদ্বেগ এবং উদ্দীপনা কমাতেও একান্ত সাহায্য করে। জবা ফুলের চায়ের স্বাদ খানিকটা টক অনেকটা ক্র্যানবেরি জুসের মতো।