মিনাক্ষী দাসঃ প্রচণ্ড গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেয়েও পিপাসা মেটে না। আর ঘামের সাথে শরীর থেকে নানা রকম খনিজ বেরিয়ে যাওয়ায় অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তাই এই সময়ে পুষ্টিবিদেরা জলের সাথে এমন ফল খেতে বলছেন, যেগুলির মধ্যে জলের পরিমাণ বেশী। যার মধ্যে শসা অন্যতম। আবার এই শসা বাড়তি মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। কিন্তু শসা খাওয়ার বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। বর্তমানে শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বের করতে ডিটক্স পানীয় খাওয়ার খুব চল হয়েছে। তবে এর পরিবর্তে শসা ভেজানো জল খান।
শসা ভেজানো জলে ক্যালোরি অত্যন্ত কম। তাই বাজারজাত অন্যান্য কৃত্রিম পানীয় বা ফলের রসের চেয়ে ভালো। শসা ভেজানো জলের মধ্যে ভিটামিন কে ও সি যা সামগ্রিক ভাবে শরীর ভালো রাখে। হজমশক্তি উন্নত করে। শরীরে জমা টক্সিন দূর করে। এছাড়া পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং বিটা-ক্যারোটিন থাকায় ব্রণ, র্যাশ, বলিরেখা সহ ইত্যাদি দূর হয়। ত্বক টান টান থাকে। শসার মধ্যে ‘কিউকারবিটাসিন’ নামক বিশেষ একটি প্রদাহনাশকও রয়েছে। এই পুষ্টিকর পানীয় মূত্রের মাধ্যমে দেহ থেকে দূষিত উপাদান বের করে দেয়।
ফলে বিপাকক্রিয়া সঠিক ভাবে পরিচালিত হয়এছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলেও, এই পানীয় খুব উপকারী। সারাদিন অল্প অল্প করে শসা ভেজানো জল খেলে ঘন ঘন খিদের প্রবণতা কমে। শসাতে ফাইবার ও জলের পরিমাণ বেশী। এই দু’টি উপাদান অনেকক্ষণ অবধি পেট ভর্তি রাখে।
উপকরণঃ ১ লিটার জল, ১টি শসা কুচি করে কাটা, অর্ধেক পাতিলেবু এবং আটটি পুদিনা পাতা।
পদ্ধতিঃ কাচের বোতলে শসা কুচি, লেবুর টুকরো ও পুদিনা পাতা দিয়ে জল ভরে নিতে হবে। খাওয়ার আগে অন্তত প্রায় দু’ঘণ্টা বোতলটি ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। এরপর সারাদিন ধরে এই পানীয় অল্প অল্প করে খেতে থাকুন। আর এই পানীয়ের স্বাদ আরো বাড়িয়ে তুলতে চাইলে আদা, দারচিনি বা কয়েকটি বেসিলও দেওয়া যেতে পারে। যদি এই পানীয়ে ফিল্টার অথবা ডিসটিল্ড ওয়াটার ব্যবহার করা যায় তাহলে গুণাগুণ আরো বাড়বে।
এই শসা ভেজানো কিংবা ইনফিউস্ড জল পান করলে সাধারণত মারাত্মক কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যাদের ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম রয়েছে, ঘন ঘন অম্বল হয় অথবা কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই পানীয় পান করা উচিত।