গ্রীষ্মকালে দারুণ উপকারী ড্রাগন ফল

Share

মিনাক্ষী দাসঃ সাধারণত শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ইসরায়েল ও ভিয়েতনাম সহ ইত্যাদি বেশ কিছু দেশে এই ফলটি বিখ্যাত। আর নব্বইয়ের দশক থেকে ভারতে ড্রাগন ফলের প্রচলন বাণিজ্যিক ভাবে শুরু হয়। সাদা এবং লাল রঙের শাঁসের এই ফলে ক্যালোরীর মাত্রা খুব কম আর একাধিক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।  

এই ড্রাগন ফল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী


১) কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করেঃ ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে প্রো বায়োটিক থাকে। এই ধরনের উপাদান পেটে ল্যক্টো-ব্যাসিলাস জাতীয় ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়তা করায় কোষ্ঠকাঠিন্য হ্রাস পায় ও হজম শক্তি ভালো হয়।


২) রক্তাল্পতা প্রতিরোধে কার্যকরীঃ ড্রাগন ফল রক্তে আয়রনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ড্রাগন ফলে যে ভিটামিন সি থাকে তা আয়রনের শোষণ এবং কার্যকারীতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ফলে রক্তাল্পতার সমস্যার সমাধান ঘটায়।


৩) ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কার্যকরীঃ ড্রাগন ফলে ফ্যাট বা স্নেহপদার্থের মাত্রা কম থাকে। আর ফাইবার প্রচুর পরিমাণ থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার পরিপাকের গতিকে ধীর করায় রক্তে শর্করার শোষণও ধীরে ধীরে হয়। এতে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

৪) ক্যানসার ও বার্ধক্য প্রতিরোধে কার্যকরীঃ ড্রাগন ফলে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। ফ্ল্যাভিনয়েড, বিটাসায়নিন ও ফেনলিক অ্যাসিডের মতো একাধিক অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট কোষকে ‘ফ্রি র‌্যাডিক্যাল’ থেকে সৃষ্টি হওয়া ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় এবং অল্প বয়সে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।

৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরীঃ ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণ থাকে। ভিটামিন সি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কাশি-সর্দির হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031