নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ এখন সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি হলেই মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই দোকান থেকে নিজের মতো অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেতে শুরু করেন। কিন্তু এবার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহারের উপর লাগাম টানতে কেন্দ্রীয় সরকার বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য অধিকর্তা অতুল গোয়েল মেডিকেল কলেজগুলির কাছে চিঠি লিখে আর্জি জানান যে, ‘‘প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়ালগুলির নাম লেখার সময় বাধ্যতামূলক ভাবে সঠিক ইঙ্গিত, কারণ সহ যৌক্তিকতা যেন উল্লেখ করা হয়।’’
এছাড়া চিকিৎসক, অধ্যাপকদের পাশাপাশি ওষুধ বিক্রেতাদেরও সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনোরকম বৈধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া গ্রাহকদের কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ না দেওয়া হয়। আর চিকিৎসকদের নির্ধারণ করা ডোজ ও কারণ দেখে তবেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিতে হবে। কারণ যখন-তখন ইচ্ছে অনুযায়ী ওষুধ সেবনে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর) তৈরী হতে পারে। যা আগামী দিনে মারাত্মক বিপদের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলবে।

- Sponsored -
চিকিৎসকদের মতে, ‘‘অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া নিয়ে এখনই সতর্ক না হলে কয়েক বছরের মধ্যেই এমন সময় আসবে, যখন কারোর শরীরে বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক কাজই করবে না। তখন তার বিকল্প ওষুধ বার করা যাবে কি না, তা নিয়েও যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।’’ অর্থাৎ বেশ কিছু রোগের চিকিৎসা করা আর সম্ভব হয়ে উঠবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ব্যাক্টেরিয়াল এএমআরের কারণে ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লক্ষ ২৭ হাজার রোগীর মৃত্যু হয়েছে।