পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বাসন্তীর মসজিদবাটি পঞ্চায়েত এলাকায় বর্ষার আগে এলাকার বিভিন্ন বাঁধ মেরামতির জন্য অর্থ বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছিল। মাত্র একটি বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেলেও টাকার অভাবে সেই কাজও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাতে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
দীর্ঘদিন থেকে কেন্দ্র একশো দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা না দেওয়ায় গ্রামীণ এলাকায় বহু উন্নয়নের কাজই আটকে রয়েছে। মসজিদবাটিতে বেশ কয়েকটি এলাকায় নদী বাঁধের বেহাল অবস্থা। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বর্ষার আগেই দশটি এলাকায় বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ মেরামতির জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে অর্থ বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছিল।
দশটি বাঁধের মধ্যে রামগোপালপুর এলাকায় একটি বাঁধ মেরামতির অনুমোদন পাওয়া গেলেও সেই কাজ করা হয়নি। উপপ্রধান গৌর সর্দার জানান, “ইতিমধ্যেই প্রায় আড়াই কোটি টাকার কাজ হয়েছে। যা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়েছে। শ্রমিকেরা মাঝে মধ্যেই টাকার জন্য পঞ্চায়েত প্রধান-উপপ্রধানের বাড়িতে এসে ঝামেলা করছেন। রাস্তায় বেরোনো যাচ্ছে না।
টাকা না পাওয়া অবধি নতুন করে কাজ করা সম্ভব নয়।” পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় মোট চার হাজার শ্রমিকের জব কার্ড রয়েছে। যার মধ্যে আড়াই হাজার শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। কিন্তু একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা বন্ধ থাকায় পরিবারগুলি সমস্যায় পড়েছে। অনেকে গ্রামে কাজ না পেয়ে ফের ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন।
এদিকে টাকার অভাবে এই পঞ্চায়েতে সাতটি খাল সংস্কারের কাজ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া খেলার মাঠ ও একাধিক রাস্তা তৈরীর কাজ বন্ধ রয়েছে। নদী বাঁধগুলির খুব খারাপ অবস্থা। ফলে বেশী বৃষ্টি হলে বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় এলে বাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।