নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এলাহাবাদঃ জাতীয় পশু হিসেবে বাঘই পরিচিত। কিন্তু এবার সেটি উলটপুরাণ। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতির জানান, গরু ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিক ভাবে জড়িত। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গরুকে ভারতের জাতীয় পশু ঘোষণা করা উচিত। এছাড়া যারা গরুকে ঈশ্বরের চোখে দেখে তাদেরও মৌলিক অধিকার রক্ষিত হবে।
এর পাশাপাশি এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি শেখর কুমার যাদব সমভল জেলার বাসিন্দা জাভেদ নামে এক ব্যক্তির জামিন সংক্রান্ত মামলার রায় শোনানোর সময় গোহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির জামিনের আবেদন করলে সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
শেখর কুমার যাদব জানান, “যে বা যারা গরুর ক্ষতি করার চেষ্টা করেন সরকারের তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনা উচিত। গো হত্যা কোনো মতেই মৌলিক অধিকার হতে পারে না”।
শেখরকুমার যাদব বলেন, “এই প্রথম এই ধরনের অভিযোগ ওঠেনি। এর আগেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গোহত্যার অভিযোগ উঠেছে। যা সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করে”। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী মহশিন রাজা আদালতের এই সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছেন।
শুধু হিন্দুরাই নয় বড়ো অংশের মুসলিমরাও গরুকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। বাবর, হুমায়ুন, টিপু সুলতানদের মতো মুসলিম রাজাদের সময়ও গোহত্যা নিষিদ্ধ হয়েছিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ ছিল। আর মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতবর্ষে বিভিন্ন জায়গাতে গোহত্যার অভিযোগে কয়েকজন আক্রন্ত হয়েছেন আবার কয়েকজন মারাও গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের দাদরিরম বিসরাতে বাড়িতে গো-মাংস রাখার অপরাধে জনরোশে আকলাখ মহম্মদ নামে এক ব্যক্তি খুন হন। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। ওই সময় এই খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলায় প্রকাশ্য দিবালোকে দাঁড়িয়ে কবি সুবোধ সরকার, সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ গোমাংস খেয়েছিলেন।