নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ঘোষণা করলেন, “ভ্যাক্সিন দেওয়ার জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যে চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ মোট তিন কোটি করোনা যোদ্ধাদের ভ্যাক্সিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাদের বিনামূল্যেই দেওয়া হবে এই কোভ্যাক্সিন”।
তিনি আরো জানিয়েছেন যে, “আমি প্রত্যেককে অনুরোধ করব কোনো রকম গুজবে কান দেবেন না। ভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে আমরা সুরক্ষা ও কার্যকারীতার উপর সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। পোলিওর টিকাকরণের সময়েও একই ভাবে অনেক গুজব ছড়ানো হয়েছিল। কিন্তু মানুষ টিকা নিয়েছিলেন এবং আজ দেশ পোলিও মুক্ত হয়েছে”।
আজই সমগ্র দেশের ১১৬ টি জেলায় কোভ্যাক্সিনের ড্রাই রান শুরু হয়েছে। মোট ২৫৯ টি শিবিরে এই ড্রাই রান চলছে। পশ্চিমবঙ্গের দত্তাবাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আমডাঙা ও মধ্যমগ্রামের ইউপিএইচসি ৪ এই তিন জায়গায় বিধিনিষেধ মেনে এই কাজ শুরু হয়েছে।
নির্দিষ্ট দুরত্ববিধি মেনে এবং পরিচয়পত্র দেখে নাম সফটওয়্যারে নথিভুক্ত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ৫ জন করে একটি দলের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। টিকায় অংশগ্রহণকারীদের আলাদা একটি ঘরে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সেখানে রয়েছেন ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেন্দ্র এবং রাজ্য স্বাস্থ্যবিভাগের প্রতিনিধিরা। বিশেষ একটি সফটওয়্যার কো-উইন এর মাধ্যমে গোটা বিষয়টির ওপর নজর রাখবে বিশেষজ্ঞ টিম। টিকা নেওয়ার পরে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে SMS চলে যাবে। এরপর ম্যাসেজের মাধ্যমে পরবর্তী ভ্যাক্সিন নেওয়ার দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে।
গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রেজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনে র জরুরি প্রয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে। তাদের এই সুপারিশ ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।