নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ করোনা পরিস্থিতির জেরে দীর্ঘ এক বছরের বেশী সময় থেকে দেশের প্রায় সমগ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে পঠনপাঠন ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। তবে মোবাইল বা কম্পিউটার না থাকায় গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে অনেক ফুটপাথবাসী পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে না”।
তাই পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই দিল্লির মাস্টারমশাই সত্যেন্দ্র পাল একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে সত্যেন্দ্রবাবু সকল পড়ুয়াদের জন্য রাজধানীর ভাঙাচোরা, অর্ধেক বানিয়ে ফেলে রাখা একটি ব্রিজের ধারে শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছেন। সেখানে আশেপাশের ফুটপাত সহ বস্তি এলাকা থেকে বেশ কিছু ছেলে-মেয়ে আসে।
সত্যেন্দ্রবাবু উত্তরপ্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে অঙ্কে অনার্স নিয়ে পাশ করেছেন। তবে শুধু নিজের শিক্ষা আর নিজের রোজগারেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তার কথায়, “আমি তো টাকা রোজগার করতে চাই। কিন্তু যদি আমি শুধু নিজের দিকেই তাকাই তাহলে আমি একাই রোজগার করবো। আর যদি আমি এই বাচ্চাদের সাহায্য করি তাহলে আমার সঙ্গে সঙ্গে ওরাও রোজগার করতে পারবে”। তাই গত ছ’বছর থেকে সত্যেন্দ্রবাবু দুঃস্থ বাচ্চাদের শিক্ষা দান করছেন।
এছাড়া সত্যেন্দ্রবাবু আরো বলেছেন, “গত বছর মার্চ মাসে আমি ক্লাস নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। করোনা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। সেই মুহূর্তে আমাকে এই বাচ্চাদের মা-বাবারাই পড়াতে বলতেন। ফলে তাদের অনুরোধ ফেলতে পারিনি”।
আজকের এই করুণ পরিস্থিতিতেও সত্যেন্দ্রবাবুর এই নিঃস্বার্থ উদ্যোগ সত্যি অনস্বীকার্য।