নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারঃ প্রায় আট বছর পর আবার গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন আলাদা রাজ্য হিসাবে কোচবিহারের স্বীকৃতির দাবীতে ‘রেল রোকো’ আন্দোলনে নেমেছে। ফলে গতকাল রাত থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রেল পরিষেবা প্রভাবিত হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি-গৌহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, বঙ্গাইগাঁও নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস ইত্যাদি বাতিল হয়েছে। আর ডিব্রুগড়-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, আনন্দবিহার অরুণাচল এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি এক্সপ্রেস ও কামাখ্যা রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেস ঘুরপথে যাত্রা করছে। স্বাভাবিক ভাবে প্রচুর যাত্রী অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন।
জিসিপিএ এবং কেএসডিসি নামে দুই সংগঠনের কর্মীরা আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি দাবী করে প্রথমে জেলাশাসক দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ নেতা বংশীবদন বর্মণের ঘোষণা মতো গতকাল রাতেরবেলা থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘রেল রোকো আন্দোলন’ শুরু হয়েছে। সেইমতো বংশীবদন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অসম-বাংলা সীমানায় জোড়াই রেলস্টেশনে জমায়েত শুরু করেন। আর এদিন ওই কর্মী-সমর্থকেরা হাতে পোস্টার ও ফেস্টুন নিয়ে শ্লোগান তুলে রেলপথে বসে পড়েন। এই ট্রেন অবরোধের জেরে স্টেশনে এসে অসুবিধায় পড়া যাত্রীদের বাসে করে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন এভাবেই আলাদা রাজ্যের দাবী তুলে রেল অবরোধ কর্মসূচী শুরু করেছিল। এমনকি অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিউ কোচবিহার স্টেশনে অবরোধ শুরু হয়েছিল। প্রায় আশি ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলার পরে পুলিশ অভিযান চালায়। আধ ঘণ্টার মধ্যে রেললাইন থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেদিনের পুলিশী অভিযানের কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে বংশীবদনবাবু বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন। আবার এদিন আট বছর পর ঠিক একই দাবী নিয়ে রেল অবরোধ শুরু হয়েছে। তবে এবার উত্তর-পূর্ব ভারতের রেল যোগাযোগ বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে জোড়াই স্টেশনকে অবরোধের কেন্দ্রস্থল হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে।