অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ সম্প্রতি নানা জেলার মানুষের আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে পড়ছে। সেই মর্মে বাড়িতে চিঠিও আসছে। নদীয়া, বর্ধমান সহ নানা জেলার মানুষ এই চিঠি পেয়ে আতঙ্কিত। অনেকে দেশের নাগরিকত্ব হারানোর শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই আধার কার্ড সংখ্যালঘু, মতুয়া, তফসিলি জাতি–উপজাতির বাতিল হয়েছে। যা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হচ্ছে।
এই আবহে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে ভয়, আতঙ্কিত হতে নিষেধ করেছেন। এমনকি আজ নবান্ন থেকে আধার কার্ডের বিকল্প কার্ড রাজ্য সরকার দেবে বলে ঘোষণাও করেছেন। এছাড়া ‘আধার সমস্যার পোর্টাল’ নামে একটি পোর্টাল খুলতে নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই বিষয়ে সরাসরি চিঠিও লিখেছেন।
চিঠিতে জানান, ‘‘আমি স্তম্ভিত। জানতে পেরেছি নয়াদিল্লির ইউআইডিএআই রাজ্যকে না জানিয়ে কোনো ফিল্ড এনকোয়ারি ছাড়া একাধিক বাড়িতে নোটিশ দিয়েছে। আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেশনের নোটিশ পাঠিয়েছে। আগাম না জানিয়ে এটা করা যেতে পারে কিভাবে অবাক লাগছে! লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা কি ভয়ের আবহ তৈরী করার জন্য করা হলো? একটু সহমর্মিতার সাথে দেখে সমাধানে হস্তক্ষেপ করুন।’’
আর নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এও বলেন, ‘‘যারা আধার কার্ড নিয়ে ছেলেখেলা করছেন, মানুষকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছেন, আঁধার জগতে মানুষ তাদের ফেলবে। গরীবদের বলবো কোনো ভয় নেই, আমাদের জানান। আমরা বিকল্প কার্ড দেব। রেশন, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও কাস্ট সার্টিফিকেট সব পাবেন।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুভেন্দু অধিকারীর দাবী, ‘‘আধার কার্ড বাতিলের সমস্যার সমাধান দ্রুতই করে দেওয়া হবে।’’ এদিকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের অভিযোগ করেছেন, ‘‘এটা সুকান্ত এবং শুভেন্দু যোগসাজশ করেই করেছেন। তা না হলে তাঁরা কেমন করে বলছেন কথা বলছি, দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। এটা তো স্ববিরোধী মন্তব্য।’’