নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ গতকাল বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস কংগ্রেস ছেড়ে ঘাটালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে দলবদল করেন। আর তৃণমূলে যোগদানের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা পেলেন।
আজ সকালবেলা থেকেই বাইরন বিশ্বাসের সামসেরগঞ্জের বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য আট জন সশস্ত্র কনস্টেবল, দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর রাখা হয়েছে। আর দেহরক্ষী হিসেবে তিন জন কনস্টেবল, এক জন সাব ইন্সপেক্টর ও এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ করা হয়েছে।
বাইরন বিশ্বাস রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষকর্তাকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা জানান, “মুর্শিবাদাবাদের মাটিতে ফিরলেই হামলা হতে পারে। তাই তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে পুলিশী নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।” প্রসঙ্গত, ২ রা মার্চ বাইরন বিশ্বাস কংগ্রেসের হয়ে জয়ী হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে রাজ্য পুলিশের কাছে দরবার করেছিলেন।
![- Sponsored -](https://indianprimetime.in/wp-content/uploads/2021/02/advertisehere.png)
- Sponsored -
এমনকি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। চলতি মাসেই হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নিরাপত্তা দিতে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তা নিয়ে গড়িমসি করেছিলেন। তবে দলবদলের পরই দাবী মতো রাজ্য পুলিশ বাসভবন এবং নিজস্ব দেহরক্ষীর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এআইসিসি নেতা জয়রাম রমেশ তৃণমূলকে কটাক্ষ করে জানান, ‘‘তৃণমূল বিজেপির হাত শক্ত করছে।
ঐতিহাসিক জয়ের ফলে কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার তিন মাস পর তৃণমূল বাইরন বিশ্বাসকে কাছে টানতে প্রলুব্ধ করেছে। এটা সাগরদিঘি বিধানসভা এলাকার জনগণের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। গোয়া, ত্রিপুরা মেঘালয় সহ অন্যান্য রাজ্যে এই ধরনের দলবদল বিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করার জন্য করা হয়নি। শুধুমাত্র বিজেপির উদ্দেশ্য পূরণের জন্য করা হয়েছে।’’