নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারঃ কোচবিহারের মাথাভাঙার বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ঘোকসাডাঙা থানা এলাকার শিলডাঙার রেললাইনের পাশ থেকে বিজেপি নেতার ছেলের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আর এটি আত্মহত্যা না খুন? তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠছে। মৃতের নাম প্রলয় বর্মন। পেশায় মুহুরী ছিল।
বিজেপি নেতা অধীর বর্মনের অভিযোগ, ‘‘চাঁদা নিয়ে বিধান সঙ্ঘ ক্লাবের সঙ্গে প্রলয়ের ঝামেলা হয়েছিল। আর ক্লাবের তরফে জানানো হয়, ‘ক্লাবের দুর্গা পূজা প্যান্ডেলের একটি অংশে প্রলয়ের বাইক ধাক্কা মেরেছে।’ এরপর সেখানে গিয়ে দেখেন বাইক ও মোবাইলটি পড়ে রয়েছে কিন্তু ছেলে নেই। প্রলয়ের বিষয় জানতে চাইলে ক্লাবের কর্মকর্তারা বাড়িতে চলে গিয়েছে জানান। তাই বাড়িতে ফিরে আসার পরও তাকে খুঁজে না পেয়ে আবার সেই ক্লাবেই যান।
তখন ক্লাবের সদস্যদের একজন বলেন, ‘খোঁজ করে দেখুন কোথাও হয়তো পড়ে রয়েছে।’ এরপর ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই রেললাইনের ধারে দেহ পাওয়া যায়।’’ দাবী করা হচ্ছে, ‘‘ক্লাবেই মারধর করে মেরে ফেলা হয়। পরবর্তীতে ঘটনা আড়াল করতে মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে ট্রেন লাইনের ওপরে রাখা হয়েছে। বিজেপি করার অপরাধেই প্রলয়ের এই পরিণতি হয়েছে বলে অধীরবাবু দাবী করেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এছাড়া এও জানান, ‘‘এই পরিকল্পিত খুনের পিছনে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাধব বর্মনের ইন্ধন রয়েছে। তবে ঘটনার তিন দিন পরও পুলিশ এফআইআর নেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন।’’ এদিকে এফআইআর না নেওয়ার কারণে তিনি মুহুরীদের জানালে তারাই অনলাইনে এফআইআর করার পরামর্শ দেন। তারপরই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্রলয়ের মৃত্যুতে পুরো পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।