মিনাক্ষী দাসঃ খাবার পর মুখে স্বাদ আনতে অনেকেই মৌরি খেয়ে থাকে। এই মৌরির মধ্যে কপার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন A, C, B6 এর মতো নানা পুষ্টি সমৃদ্ধ গুণাগূণ আছে।
তবে খালি পেটে মৌরি ভেজানো জল খেলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়। তার জন্য নিয়মিত প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস জলে এক চামচ মৌরি ভালো করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। আর পরদিন সকালে শুধু সেই মৌরি ভেজানো জল খেলে উপকারীতা নজরে আসবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএই জল খেলে শরীরের মেদ কমে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়। দৃষ্টিশক্তি আরো জোরালো হয়। হরমোনের ভারসাম্যতা বজায় থাকে। এছাড়াও এটি যেকোনো ধরণের রোগ প্রতিরোধ করে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
মৌরিতে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে। যা মুখের মধ্যে থাকা জীবাণু প্রতিহত করে জীবাণুর আক্রমণ আটকায়৷ মুখের সুগন্ধ আনে। মৌরির মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের মলিকিউলে গিয়ে অক্সিডেটিভ ড্যামেজের সাথে লড়াই করে। মৌরি ভেজানো জল গ্যাস্ট্রো এনজাইম তৈরি করে যা হজমে সাহায্য করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএছাড়াও মৌরির মধ্যে প্রচুর পটাশিয়াম আছে। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং রক্তকে পরিষ্কার করে।
মৌরির মধ্যে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ফুসফুসের কার্যক্ষমতা তো বাড়ায়। শ্বাস প্রশ্বাসের প্রক্রিয়া ঠিকঠাক রাখে। ফলে শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিসের ও ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএমনকি পিরিয়ড শুরুর দিন থেকে মৌরি খাওয়া উচিত৷ যার ফলে এইসময় হওয়া শারীরিক যন্ত্রণা বিশেষত তলপেটের বেদনা থেকে মুক্তি ঘটে।
তবে কখনোই শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের এটি সেবন করা উচিত নয়। আর যাদের রক্তে সমস্যা ও গাজরে অ্যালার্জি আছে তাদেরও মৌরি খাওয়া উচিত না।