ব্যুরো নিউজঃ তুরস্কঃ নিজেরই অফিসের মালিককে এক অধস্তন কর্মী পানীয়র মধ্যে করোনা রোগীর লালারস মিশিয়ে খুনের চেষ্টা করল। ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, সেখানকার একজন বাসিন্দা পেশায় গাড়ি ব্যবসায়ী ইব্রাহিম উনভের্দি অভিযোগ জানিয়েছেন যে, “তিনি সিমেন নামে ওই কর্মীকে একটি গাড়ি বিক্রির ২২ লক্ষ টাকা অফিসে পৌঁছে দিতে বললে সেই কর্মী ওই টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। বারবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায় না। পরের দিন তাকে ফোনে পাওয়া গেলে সে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ঋণের দায়ে ডুবে থাকায় সে ওই টাকাগুলো দিয়ে তার সমস্ত ঋণ শোধ করেছে”।
এছাড়াও ইব্রাহিম আরো বলেছেন যে, “টাকা চুরির পর থেকে সিমেন তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে। সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে সিমেন তাকে খুন করতে তার পানীয়তে করোনা রোগীর লালারস মিশিয়ে দেয়। এমনকি সে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে সেই লালারস সংগ্রহ করেছিল।
কিন্তু সৌভাগ্যবশত ইব্রাহিম এক কর্মীর মারফত পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। কাজেই ভুলেও সেই পানীয় মুখে তোলেন নি।
সমস্ত ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সিমেন প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দিয়ে জানিয়েছেন, “ভাইরাস দিয়ে মারতে পারলাম না, পরের বার সোজা মাথায় গুলি করে মারব”।
এই ঘটনার পর থেকেই ইম্রাহিম খুব ভীত এবং সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এরপর থানায় এসে সিমেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন ও হুমকির মামলা দায়ের হয়েছে। আর পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।