শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ঃ দক্ষিণ দিনাজপুরঃ প্রায় কয়েক পুরুষ ধরে ওরা কুটির শিল্পের সাথে যুক্ত। একটা সময় কুটির শিল্পের মাধ্যমে ভাত জোগান সহজ হলেও এখন রাস্তাটা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। ওরা মানে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহর অন্তর্গত বালুরঘাট ফরেস্ট এলাকায় মাহালি পাড়ার বাসিন্দারা।
https://www.youtube.com/watch?v=2Ul8bQRPUsc
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereযেখানে বেশীরভাগ তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত লোকই বসবাস করে। যাদের রুটি রোজগার বলতে মূলত বাঁশের তৈরী কুলো, ডালি ও পাখা তৈরী করা। আর নিজেদের তৈরী কুলো, ডালি এবং পাখা বিক্রি করেই সংসার চলে। মূলত এই শিল্প ওই এলাকায় ঘরে ঘরে। আনুমানিক ৪০ টির উপরে পরিবার এই শিল্পের সাথে জড়িত।
Sponsored Ads
Display Your Ads Herehttps://www.youtube.com/watch?v=8XwNGe0YwVc
কিন্তু গত দু’বছর ধরে তাদের মুখের হাসি করোনা রাক্ষস কেড়ে নিয়েছে। এই করোনা সংকটের জন্যই লকডাউনের ছায়া নেমে এসেছে। এই লকডাউনের প্রভাবে বাঁশ শিল্পীরা মন্দা সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
https://www.youtube.com/watch?v=vT6-r-H6RaI
একটা সময় ভালো দাম পেলেও এখন আর দাম নেই। বেচাকেনা অনেক কমে গেছে। সাধারণত পূজো-পার্বণ গুলোতে এই বাঁশের তৈরী কুলো, ডালি ও পাখা এইসব ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে লকডাউনের কারণে পুজোর সংখ্যা অনেকটাই কমে যাওয়ার কারণে বাঁশের তৈরী ব্যবহৃত জিনিসের চাহিদাও অনেক কম।
সামনেই আসছে বাঙালীর তেরো পার্বণের এক পার্বণ জামাইষষ্ঠী। জামাইষষ্ঠীতে কুলোর চাহিদা থাকলেও বাজারে মূল্য নেই। তাই এই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ডালি তৈরীর শিল্পী থেকে শুরু করে বিক্রির সাথে যুক্ত ব্যবসায়ী সবার মাথায় হাত পড়েছে।