নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কলকাতাঃ বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ৮১ বছর বয়সেই আজ সকালবেলা ৭ টা ৩৫ মিনিটে প্রাণ হারালেন বিখ্যাত বাচক শিল্পী পার্থ ঘোষ। হাসপাতাল থেকে দেহ দমদমের এসপি মুখার্জি রোডের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। আর নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
জানা গেছে, বেশ কিছু দিন থেকে পার্থবাবু অসুস্থ ছিলেন। তাই হাওড়ার এক বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এছাড়া গলায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল। কিন্তু এদিন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। রেডিওর উপস্থাপক হিসেবে আবৃত্তিকার দম্পতি পার্থ ঘোষ ও গৌরী ঘোষের পেশাজীবন শুরু।
দীর্ঘ দিন পার্থবাবু এবং গৌরী দেবী আকাশবাণী কলকাতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের ‘শেষ বসন্ত’ পার্থের কণ্ঠে সমাদৃত হয়েছিল। তাছাড়া রবীন্দ্রনাথেরই ‘বিদায়’ ও ‘দেবতার গ্রাস’ও জনপ্রিয় ছিল। এমনকি স্ত্রীর সাথে বেশ কিছু শ্রুতিনাটক যেমন ‘প্রেম’, ‘জীবন বৃত্ত’, ‘স্বর্গ থেকে নীল পাখি’ ছিল স্মরণে রাখার মতো।
এক সময় পার্থবাবু এবং গৌরীদেবী ‘কর্ণ-কুন্তী সংবাদ’ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। সেই সময় পার্থবাবু কর্ণের ভূমিকায় ও গৌরীদেবী ছিলেন কুন্তীর ভূমিকায় ছিলেন। ২০২১ সালের ২৬ শে অগাস্ট গৌরী দেবীর মৃত্যু হয়।
পার্থবাবুর প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘পার্থবাবুর অনবদ্য আবৃত্তি মননশীল শ্রোতাদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। তিনি দীর্ঘদিন আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের উপস্থাপক ঘোষক হিসাবেও কাজ করে গেছেন।
পার্থবাবু পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৮ সালে পার্থবাবু ‘বঙ্গভূষণ সম্মাননা’ প্রদান করে। তাঁর প্রয়াণে সাংস্কৃতিক জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি পার্থ ঘোষের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’