নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ গত ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অর্থ পাচারের দায়ে তৃণমূলের তত্কালীন রাজ্যসভা সাংসদ কেডি সিং এর দিল্লি ও চণ্ডীগরের অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)-র আধিকারিকরা। আর এবার বিদেশে মুদ্রা পাচারের দায়ে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ তথা আর্থিক লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান অ্যালকেমিস্টের কর্ণধার কে ডি সিংকে গ্রেপ্তার করল ইডি।
গতকাল তাঁকে অর্থ পাচার মামলায় তদন্তের জন্য দিল্লির ইডির অফিসে তলব করা হলে সেখানে প্রায় ছঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর কথায় প্রচুর অসঙ্গতি থাকায় তদন্তের পরেই আজ প্রিভেনশান অব মানি লন্ডারিং ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।
ইডির তদন্তকারীরা বলেছেন, “কে ডি সিং অন্তত ২০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজই তাঁকে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদকে আদালতে তোলা হবে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereসূত্রের ভিত্তিতে জানা যায়, অ্যালকেমিস্টের কর্ণধার কে ডি সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, তিনি সাধারণ মানুষকে মোটা সুদ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। এরপর সেই মোটা অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। সাধারণ মানুষ তাদের লগ্নি করা অর্থও ফেরত পাননি। এছাড়াও তাঁর নারদা সহ সারদা কাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে।
তবে ২০১৬ সালে অ্যালকেমিস্ট চিট ফান্ড মামলায় অর্থ তছরুপের অভিযোগে মামলা দায়ের করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তদন্ত শুরু করে। এছাড়াও সেবি’র পক্ষ থেকেও অ্যালকেমিস্টের পরিচালক ও শেয়ার হোল্ডারদের বিরুদ্ধে ১৯০০ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে কে ডি সিংহের ২৩৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলেও প্রয়াত বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বন্ধুত্বের সুবাদে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি।