নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ বর্ধমান আদালতের লকআপে খাবার সরবরাহের দায়িত্বে একটি ঠিকাদার সংস্থা ছিল। গত সাত মাস হয়ে গেলেও ওই ঠিকাদার সংস্থার কাছে দু’লক্ষেরও বেশি টাকার বিল বাকি আছে। বারবার তাগাদা করার পরও এই বিল মেটানো হয়নি। তবে লকডাউনের জেরে তাদের ব্যবসায় প্রচণ্ড লোকসান হওয়ায় সংস্থাটি জানিয়েছিল, বছরের শেষের দিকে সম্পূর্ণ বিল না মেটালে খাবার সরবরাহ করা হবে না। তারপরও টাকা না পাওয়ায় গত ১ লা জানুয়ারী থেকে খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থাটি।
ফলে বর্ধমান জেলা আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে খাবার পাচ্ছে না অভিযুক্তরা। খাবার না পেয়ে আদালতের লকআপে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা।
কিন্তু আদালতে পেশ করার আগে সংশোধনাগার থেকে আসা অভিযুক্তদের খাবার খাইয়ে নিয়ে আসা হয় ও তারা বিকেলে বরাদ্দ করা খাবার খায়। তবে যাদের থানা থেকে সরাসরি আদালতে পেশ করা হয় তাদের অনেক সময় খাবার জোটে না। আর সকালে থানা লকআপে সামান্য পরিমাণ খাবার দেওয়া হয় তাদের। আদালতে পেশ করার পর দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয় ধৃতদের।
আদালতের এক কর্মী জানান, ”ঠিকাদার সংস্থাটি ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার বেশি পাবে। এ ব্যাপারে জেলা জজ ও সিজেএমকে জানানো হলেও ওই ঠিকাদার সংস্থাটি টাকা পায়নি। সেজন্য তারা চিঠি দিয়ে খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে”।
এক জেলবন্দি ধৃত জানিয়েছেন, “বাইরে থেকে লকআপে খাবার দেওয়া হয় না। পরিবারের লোকজনকেও খাবার দিতে দেওয়া হয় না। অথচ আদালত কর্তৃপক্ষ খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সংশোধনাগারে পৌঁছাতে মাঝেমধ্যেই রাত হয়ে যায়। ফলে বহুক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয় তাদের”।
বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক পার্থ হাটি বলেন, ”বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে আদালতের লকআপে অভিযুক্তদের খাবার না মেলা অত্যন্ত অমানবিক ঘটনা। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে”।