অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ রাতভর অনবরত বৃষ্টিতে আজ ভোরবেলা ৪ টে নাগাদ উত্তর কলকাতার দশ নম্বর আহিরীটোলা লেনে একটি দোতলা বাড়ির একাংশ হুড়মুড়িয়ে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এই বাড়ি ভেঙে ধ্বংসস্তূপের তলায় অনেকেই আটকে পড়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ, দমকল বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
জানা গিয়েছে যে, ওই বাড়ির মধ্যে মোট দু’টি পরিবার ছিল। এর মধ্যে একটি পরিবার ভেঙে পড়া দেওয়ালে ছিদ্র তৈরী করে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। কিন্তু অপর পরিবারের গৃহকর্ত্রী ও শিশু সহ বেশ কয়েকজন আটকে পড়ে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় প্রথমে এক দম্পতিকে উদ্ধার করা হয়। পরে চাঙড় সরিয়ে আরো দু’জনকে বার করে এনে চার জনকেই আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ্ররপর আরো কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে এক শিশু সহ চার জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পুলিশ জানায় যে, “বাড়িটি বিপজ্জনক অবস্থাতেই ছিল”। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি একজন মহিলা ও একজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক শশী পাঁজা, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র এই ঘটনারখর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পুরশাসক ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বলেন, “ভেঙে পড়া বাড়িটিকে আগেই বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নোটিশ ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পুরসভার কর্মীরা বারবার বাসিন্দাদের বললেও তারা উঠতে চাননি।
বসবাসকারীরা নোটিশ পাওয়ার পরই উঠে গেলে এমন বিপত্তি ঘটতো না। বর্তমানে আহিরীটোলার দশ নম্বর স্ট্রিটের ওই দোতলা বাড়িটিকে ভেঙে ফেলা হবে। ওই বাড়ির বসবাসকারীদের প্রাথমিকভাবে ত্রিপল দেওয়া হবে। পরে চাইলে পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করা হবে”।