অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ ভবানীপুরে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রচারকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আজ ভবানীপুরে রাজ্য বিজেপির বেশ কয়েক জন প্রথম সারির নেতা প্রচারে গিয়েছেন। প্রচারের শেষ দিনে তৃণমূল যদুবাবুর বাজারে দিলীপ ঘোষের মিছিলকে কেন্দ্র করে তুমুল বিক্ষোভ দেখালে বিজেপি সমর্থকরা পাল্টা প্রচার চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এরপরেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হতেই এই বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটে গেছে।
বিজেপির তরফে অভিযোগ উঠছে যে, তৃণমূল তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে চড়াও হয়। এছাড়া মারধর করা হয়। এমনকি দিলীপ ঘোষকেও ধাক্কা দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের কাছে বার বার আবেদন করা হলেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”তৃণমূল ভবানীপুরে হেরে গিয়েছে বুঝতে পেরেই আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ ভাবে নির্বাচন হয় না। এই ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবো”।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “তৃণমূল হেরে যাওয়ার ভয়ে হামলা করছে। আর এই মন্তব্যে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “বিজেপি কে? খায় না মাথায় দেয়! ভবানীপুরে হার নিশ্চিত জেনে ভূমি তৈরী করছে। ওখানে বিজেপির কোনো সংগঠন নেই। পোলিং এজেন্টও নেই”।
এর পাশাপাশি তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ করেছে যে, বিজেপি এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে। দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে ভয়ও দেখান। বিজেপিকে এলাকায় অশান্তি না ছড়ানোর জন্যই আটকানো হয়।
দিলীপ ঘোষের আগে বিজেপির অপর এক সাংসদ অর্জুন সিংহকে কেন্দ্র করেও ভবানীপুরে বিক্ষোভ হয়েছিল। তৃণমূল কর্মীরা শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে অর্জুন সিংহকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ শ্লোগান তোলেন।