জল বাড়তেই বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে হুগলীর বিস্তীর্ণ এলাকায়

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ রূপনারায়ণ থেকে মুণ্ডেশ্বরী, দারকেশ্বর, সব নদীতেই হু হু করে বেড়েই চলেছে জল। তাতেই ফের বন্যার ভ্রুকুটি খানাকুলে। কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। বর্ষার শুরু থেকেই বারবার দফায় দফায় ডুবেছে এলাকা। এবার বর্ষা বিদায়ের মুখেও ফের প্লাবনের আশঙ্কা। একদিকে ডিভিসির ছাড়া জলে চাপ যেমন বেড়েছে তেমনই চিন্তা বাড়িয়েছে একটানা বৃষ্টি। সে কারণেই দীপাবলির আগে ফের একবার আতঙ্কের কালো মেঘ ঘুরছে খানাকুলের আকাশে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, “গত বছরের ভাঁঙা বাঁধ এখনও সব জায়গায় ঠিকভাবে মেরামত হয়নি। কোথাও কোথাও কাজ হলেও এখনও কাঁচা অবস্থাতেই রয়েছে। জলের চাপ আরও বাড়লে তা ভেঙেও পড়তে পারে।” এরইমধ্যে একদিকে রূপনারায়ণ নদীর জোয়ারের জল আর অন্যদিকে মুণ্ডেশ্বরী নদী ও দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে একাধিক গ্রামে। তাতেই পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়েছে। নিম্নচাপের জেরে বেশ কয়েকদিন ধরেই একটানা বৃষ্টির ছবি দেখা যাচ্ছে আরামবাগ, খানাকুলের বিস্তৃর্ণ এলাকায়।

বৃষ্টির জেরে দ্বারকেশ্বরের জল এমনিতে বেড়েই ছিল, তার সঙ্গে দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরীর উপর আরও চাপ বাড়িয়েছে ডিভিসির জল। ফলে জল স্তর ক্রমেই আরও বাড়ছে। ইতিমধ্যেই খানাকুলের জগৎপুর, নন্দনপুর, বাড়নন্দনপুর, জগদীশতলা, রাজহাটি, মাড়োখানা-সহ কয়েকটি গ্রামে ঢুকেছে জল। মায়াপুর-গড়েরঘাট রাজ্য সড়কের জগদীশতলায় জল উঠেছে। চাষের বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকার লোকজন।


আরামবাগ- গড়েরঘাট রাজ্য সড়কেও জল উঠেছে। এরপর যদি জল আরও বাড়ে তাহলে যোগাযোগই বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যদিকে আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালেও জল ছাড়া হয়েছে ডিভিসি থেকে। তাতেই জলের পরিমাণ আরও অনেকটা বেড়েছে। তবে গোটা পরিস্থিতির উপর প্রশাসনের তরফে সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। 


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930