নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ আজ মুর্শিদাবাদের উজনিয়া গ্রামে ভরতপুর দুই নম্বর ব্লকের প্রাক্তন ও বর্তমান ব্লক তৃণমূল সভাপতির অনুগামীর মধ্যে বচসার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বোমাবাজি শুরু হওয়ায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো। এই ঘটনায় দু’পক্ষের পাঁচ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এক জন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, একদল দুষ্কৃতী প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ আজহারউদ্দিনের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে। ফলে পরিবারের সদস্যেরা আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। আহতদের মধ্যে একাংশের দাবী, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট না পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের বর্তমান বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের সঙ্গে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের অনুগামীদের ঝামেলা শুরু হয়েছিল। হুমায়ুন কবীরের নির্দেশেই তিনি নির্দলের টিকিটে নির্বাচনে লড়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর বিধায়কের হাত ধরে আবার মহম্মদ আজহারউদ্দিন ও তাঁর অনুগামীরা তৃণমূলে যোগ দেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে বর্তমান ব্লক তৃণমূল সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে নানা ভাবে হেনস্থা করেছিল।এদিন ওই গোলমাল বড়ো আকার ধারণ করে। সালার থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর বোমার আঘাতে এক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। আর এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মুস্তাফিজুর রহমানের অভিযোগ, ‘‘বিধায়কের ইন্ধনে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পক্ষ নিয়েছেন।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএদিকে মহম্মদ আজহারউদ্দিন এবং হুমায়ুন কবীর গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাপতি অপূর্ব সরকার জানান, ‘‘গ্রাম্য বিবাদ নিয়ে সমস্যা। এর সাথে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’’ ভরতপুরে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘‘জেলা নেতৃত্বকে বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনো কমিটি তৈরী করে দেয়নি। পুলিশকে বলেছি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে।’’
তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, প্রাক্তন জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায় মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে ভরতপুর দুই নম্বর ব্লকের সভাপতি নির্বাচন করেছিলেন। আর জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর অপূর্ব সরকার তাঁর জায়গায় মুস্তাফিজুর রহমানকে ব্লক সভাপতি করেন। পাশাপাশি মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা কমিটির সম্পাদক করা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদ আসনে নির্দল হিসেবে প্রার্থী হন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আজহারউদ্দিন। পরবর্তী কালে বিধায়কের হাত ধরে ফের তৃণমূলে যোগ দেন।