অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ রাজ্যের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করার জন্য বিধানসভায় যে বিল আনা হয়েছিল তাতে অবশেষে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস স্বাক্ষর করলেন। অর্থাৎ নতুন অর্থবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই বিলে সম্মতি দিলেন। ফলে এপ্রিল মাস থেকেই বর্ধিত বেতনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
আজ সকালে রাজভবন থেকে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানানো হয়েছে, ‘‘সিভি আনন্দ বোস পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার সদস্যদের বেতন (সংশোধন বিল) ২০২৩ এবং পশ্চিমবঙ্গে বেতন ও ভাতা (সংশোধন) বিল ২০২৩ এ সম্মতি দিয়েছেন। প্রথম বিলটিতে বিধায়কদের বেতন এবং দ্বিতীয় বিলটিতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।’’
আগে বিধায়কদের বেতন প্রতি মাসে দশ হাজার টাকা ছিল। তা বেড়ে ৫০ হাজার টাকা হলো। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীদের বেতন প্রতি মাসে ১০ হাজার ৯০০ টাকা ছিল। এখন বেড়ে ৫০ হাজার ৯০০ টাকা হয়েছে। আর রাজ্যের পূর্ণমন্ত্রীদের ১১ হাজার টাকা বেতন ছিল। বর্তমানে বেড়ে বেতন বাবদ ৫১ হাজার টাকা পাবেন।
উল্লেখ্য, সরকারের বেতন কাঠামো অনুযায়ী, ভাতা ও কমিটির বৈঠকে যোগদানের জন্য এতদিন সব মিলিয়ে রাজ্যের বিধায়কেরা মোট ৮১ হাজার টাকা বেতন পেতেন। এবার থেকে তা বেড়ে গিয়ে ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা বেতন হয়েছে। পাশাপাশি এতদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, প্রতিমন্ত্রী-পূর্ণমন্ত্রীরা ভাতা ইত্যাদি মিলিয়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা বেতন পেতেন। আর এবার থেকে সেটা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বেতন পাবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ই সেপ্টেম্বর বিধানসভার বাদল অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সহ বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের বেতন বৃদ্ধি করেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের বিধায়কদের বেতন দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম হওয়ায় আমাদের সরকার বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ এছাড়া নিজের বেতনের কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘‘আমি প্রাক্তন সাংসদ হিসাবে পেনশন বাবদ এক লক্ষ টাকা পাই। বিধায়ক হিসাবেও বেতন পাই। তবে নিই না। আমার বই বিক্রির স্বত্ব বাবদ যা টাকা পাই, তা দিয়েই চলে যায়।’’