অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ বাংলায় এ বারও সম্ভবত সাত দফাতেই লোকসভা ভোট হতে চলেছে। এমনই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। একই সঙ্গে বরানগর এবং ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনও করে ফেলতে চাইছে কমিশন। শনিবার দুপুর ৩টেয় লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে চলেছে কমিশন। তখনই স্পষ্ট হবে বাংলায় ঠিক কত দফায় লোকসভা ভোট হবে। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল যদিও এক দফাতেই ভোটের পক্ষে জোর সওয়াল করেছে।
ভোটঘোষণার আগেই দু’দফায় রাজ্যে চলে এসেছে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর আরও আসবে ৭৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই প্রেক্ষিতেই জল্পনা শুরু হয়েছে, কত দফায় রাজ্যে লোকসভা ভোট হবে? বিজেপি একাধিক দফায় ভোট চেয়ে আগেই সুর চড়িয়েছে। সেই সুরে মিলে গিয়েছে বাম এবং কংগ্রেসের দাবিও। যদিও সম্পূর্ণ উল্টো পথের পথিক রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।
কমিশনের ফুল বেঞ্চের বঙ্গ সফরের সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল স্পষ্ট করে দিয়েছিল, তারা রাজ্যে এক দফাতেই ভোট চায়। সেই অবস্থানে এখনও অনড় তৃণমূল। এই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, রাজ্যে সম্ভবত এ বারও সাত দফাতেই লোকসভা ভোট হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেও সাত দফাতেই লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলায়। আগেই জানা গিয়েছিল, ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের সময় মানুষকে নিরাপত্তা দিতে মোতায়েন করা হবে।
মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তৃণমূলের ইদ্রিশ আলি। তাঁর মৃত্যুর জেরে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাতে হবে কমিশনকে। অন্য দিকে, বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বিধায়কপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে, সেখানেও উপনির্বাচন করাতে হবে। কমিশন সূত্রের খবর, ভগবানগোলা এবং বরানগরের উপনির্বাচনও লোকসভা ভোটের সঙ্গেই করে ফেলতে চান কমিশন কর্তারা।
কিছু দিন আগে কমিশনের ফুল বেঞ্চ বঙ্গ সফরে এসে প্রশাসনকে সাফ নির্দেশ দিয়েছিল, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে রাজ্যে যত জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে, তা কার্যকর করতে হবে। যদিও সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ফুল বেঞ্চের সেই নির্দেশ পুরো পালন করা যায়নি। এ বার, শতকরা ৫২ শতাংশ বুথে ‘ওয়েব কাস্টিং’-এর ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
ভোটঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় আদর্শ আচরণবিধি বা ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট’। সেই সময় কী ভাবে প্রশাসন চলবে, তা কমিশন জানিয়ে দেয় নির্দেশিকা প্রকাশ করে। কমিশন জানিয়েছে, দিল্লি থেকে ভোটঘোষণার পরেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা রাজ্যের প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।