মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ চাকরীতে যোগ দেওয়ার মাত্র এক মাসের মধ্যে বসিরহাট থানার আইসি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় বদলি হয়ে গেলেন। গতকাল সিআইডি ইনস্পেক্টর হিসাবে বদলির নির্দেশ এসেছে। আর কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় পূর্ব বর্ধমানের সিআই রক্তিম চট্টোপাধ্যায় আইসি হয়ে এসেছেন।
৫ ই ফেব্রুয়ারী কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় বসিরহাটের আইসির দায়িত্ব নেন। এত দ্রুত তাঁকে বদলি করা হয়েছে কেন তা নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমানের অবশ্য জানান, “এটা রুটিন-বদলি।” কিন্তু অনেকেই পুলিশকর্তার এই ব্যাখায় সন্তুষ্ট হতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে বসিরহাট কোর্টে তোলার সময় ঠিক পিছনেই কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাঁটতে দেখা যায়। হাতকড়া তো দূরের কথা, পুলিশ শাহজাহানের হাতও ধরেনি। শাহজাহানের ভাবভঙ্গি দেখে অনেকের মনে হয়েছে, রীতিমতো দাপটে আছেন। আশপাশে থাকা পুলিশের জড়োসড়ো ভাব অনেকেরই চোখে লাগে। এই নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হতেই আইসিকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, “বৃহস্পতিবার কোর্টে শাহজাহানকে দেখে মনে হয়েছিল, বিশ্বজয় করে ফিরেছেন। পুলিশকে মনে হয়েছিল তাঁর দেহরক্ষী!” বসিরহাটের কংগ্রেস নেতা হিরণ্ময় দাস জানালেন, “বৃহস্পতিবার আদালতে আইসি শাহজাহানের হাত ধরে নিয়ে যায়নি। হয়তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছবি দেখে রেগে গিয়ে বদলি করে দিয়েছেন।”
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বলেছেন, “পুলিশ-নেতা-মন্ত্রী, শাহজাহান সকলেই যেন এক পরিবারের সদস্য!” রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “আইসির বদলি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে মন্তব্য করব না।”