অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ ধান বিক্রি নিয়ে বাকিবুর রহমানের স্ত্রী ও শ্যালক চাঞ্চল্যকর বয়ান দিয়েছে। আর এই বয়ানকে হাতিয়ার করেই ইডি বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) চার্জশিটে সরকারী টাকা আত্মসাৎয়ের অভিযোগ এনেছে।
ইডির দাবী, বাকিবুর রহমান দুই স্ত্রী অনামিকা বিশ্বাস ও হালিমা বেগমকে কৃষক দেখিয়ে তাদের অ্যাকাউন্টে আসা টাকা তিনি সরকারী ধান ক্রয় কেন্দ্র থেকে তোলেন। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে অনামিকা বিশ্বাসের নামে থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে চার কোটির বেশি টাকা এসেছিল। এই টাকা ধান বিক্রি করে এসেছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। শুধু বাকিবুর রহমান সব জানতেন বলে জানিয়েছেন।
অনামিকা বিশ্বাসের ভাই অভিষেক বিশ্বাসের অ্যাকাউন্টেও ধান বিক্রি বাবদ সরকারী কোষাগার থেকে চার কোটি টাকার বেশি এসেছিল। ২০২৩ সালের ১২ ই অক্টোবর অভিষেক বিশ্বাস জানান, “তার কোনো চাষের জমি নেই। কোনোদিন ধান বিক্রি করেননি। তাঁর আরও চাঞ্চল্যকর বয়ান ,সরকারি সংস্থা থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে যে টাকা এসেছিল, তার পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল বাকিবুরের হাতে।
এখানেই শেষ নয়। ইডির চার্জশিটে আয়কর দফতরের পক্ষ থেকে চলা অভিযানের কথাও উল্লেখ করে বাকিবুরের বিরুদ্ধে সরকারি তহবিল তছরুপের অভিযোগ ওঠে। আয়কর দফতর বাকিবুরের এনপিজি রাইস মিলে হানা দিয়ে বেশ কিছু ডকুমেন্টস ও ডিজিটাল এভিডেন্স বাজেয়াপ্ত করেছিল। তার মধ্যে একটি সরকারি সংস্থা থেকে ধান বিক্রি বাবদ একটি হিসেবের মেমো পাওয়া যায়। তাতে দশজনের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার প্রমাণ রয়েছে। এই দশজনের মধ্যেই রয়েছে হালিমা বেগম ও সোহেল ররহমানের নাম। যারা বাকিবুরের স্ত্রী ও পুত্র।