মিনাক্ষী দাসঃ মুরগীর মাংস তো খেয়েই থাকেন। কিন্তু কখনো কোকরার মাংস খেয়েছেন কি? এই কোকরার মাংস পদটা হলো ছাল সমেত মুরগীর মাংসের সুস্বাদু ডিশ। আর এই কোকরার মাংসে নানা উপকার আছে। পুষ্টিবিদরা বলেন, “মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হলো মুরগীর ছাল। এই ছালের প্রচুর চর্বি জমে থাকে। যার বেশীরভাগটাই অসম্পৃক্ত চর্বি।
এতে আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায় ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এই ছালের মধ্যে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা বহু রোগের ওষুধ।” সমীক্ষা বলেছে, ২৮.২৫ গ্রাম মুরগীর ছালে ৩ গ্রাম সম্পৃক্ত চর্বি থাকলে শরীরে চর্বি বাড়ায়, তাহলে অসম্পৃক্ত ফ্যাটের পরিমাণ ৮ গ্রাম।
তাই ছাল সমেত মুরগীর মাংস খেলে শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত তেল, ঝাল-মশলা মাখিয়ে রান্না করলে কোকরার মাংস থেকে কোনো উপকার পাওয়া যাবে না। এবার জেনে নেওয়া যাক রান্না করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে।
উপকরণঃ ২০০ গ্রাম বা মাঝারি সাইজের ৪ পিস ছাল সমেত মুরগির মাংস, ২ চামচ থেতো করা পেঁয়াজ, ১ চামচ থেতো করা আদা, ১ চামচ থেতো করা রসুন, ১ টা শুকনো লঙ্কা, হাফ চামচ কাঁচা লঙ্কা কুঁচি এবং স্বাদ মতো নুন।
রন্ধন প্রণালীঃ ১) প্রথমে ছাল সমেত মুরগীর টুকরোগুলো ভালো করে ধুয়ে সব ক’টা মশলার উপকরণ মাংসের সাথে ভালো করে মিশিয়ে রাখতে হবে।
২) এরপর মাটির হাঁড়িতে জল উনুনে গরম করতে দিতে হবে। আর জল একটু গরম হলে মশলা মাখানো মাংস হাঁড়ির ভেতর দিয়ে পরিমাণ মতো নুন দিয়ে দিতে হবে।
৩) তারপর মাংস সেদ্ধ হলে হাঁড়ি নামিয়ে চাপা দিয়ে রাখতে হবে। আর মনে রাখতে হবে এই রান্নায় আলাদা করে কোনো তেল দিতে লাগবে না। কারণ রান্নার সময়ে ছালের নিজস্ব চর্বি থেকে বেরোনো তেলেই সম্পূর্ণ রান্না হয়ে যাবে।