নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ সোমবার থেকে মালদার রতুয়ার মহানন্দাটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্তুটোলা গ্রামে নদীর ভাঙন শুরু হলেও আজ সকালবেলা প্রায় একশো মিটার এলাকা জুড়ে নদীর ভাঙনে গঙ্গায় তলিয়ে গেছে চাষের জমি সহ ২০টি বাড়ি। এর জেরে গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই ঘটনায় এলাকাবাসীরা প্রশাসনের গাফিলতির দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন।
মাথার উপর ছাদ হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের ত্রিপল টাঙিয়ে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাতে হচ্ছে। তবে সেচ দপ্তর নৌকাতে করে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী ভাবে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করেছে। আর এদিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা ঘোষ বর্মণ, বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী ও সমর মুখোপাধ্যায়ের মতো জনপ্রতিনিধি গ্রামে গেলে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এদিকে তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ভাঙন রোধের ব্যর্থতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন। আর বিজেপির উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মূকে দায়ী করে জানান, “রাজ্য সরকার ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে। কিন্তু বিজেপির সাংসদ দিল্লিতে গিয়ে চুপ করে বসে থাকছেন।” অন্যদিকে খগেন মুর্মূ বলেন, “ভাঙন মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নেই। তাই কেন্দ্রের কাছে কোনো প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে না।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেছেন, “ভাঙন রোধের কাজ চলছে। বর্ষার মরসুম শেষ হলে ভাঙন রোধের স্থায়ী কাজ হবে। এছাড়া বড়ো একটি প্রকল্প তৈরী করে ওই প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হচ্ছে।” সেচ দফতর সূত্রে খবর, গঙ্গা, ফুলহার এবং মহানন্দা নদীর জলস্তর বিপদ সীমার নীচে রয়েছে। নদীর জল নামতেই নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here