চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের কাছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ওই রিপোর্টে র্যাগিং আটকাতে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে। আর র্যাগিংয়ে জড়িত চার জন বর্তমান পড়ুয়াকে আজীবন বহিষ্কারের পাশাপাশি কয়েক জন প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে পুলিশী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ওই কমিটির অভিযোগ, “গত ৯ ই আগস্ট রাতেরবেলা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকে ছিল, তাদের অনেকেই ঘটনার বিষয়ে সঠিক বর্ণনা দেয়নি। এমনকি এই ঘটনার মোড় অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করে। আবার কেউ কেউ তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টাও করেছে।” তাই এদের সকলকে হস্টেল থেকে বার করে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
আর অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ মেনে সিনিয়রদের একাংশকে হস্টেল ছাড়তে হতে পারে। ঘটনার দিন সিনিয়ররা চুপ ছিলেন কেন তা নিয়ে খোদ বুদ্ধদেব সাউ প্রশ্ন তুলেছেন। ফলে ওই সিনিয়ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকতে পারবেন না বলে ইসির (এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিল) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এর সাথে সাথে র্যাগিংয়ে জড়িত রয়েছে এমন পনেরো জন পড়ুয়াকে একটি সেমেস্টার, এগারো জন পড়ুয়াকে দু’টি সেমেস্টার ও পাঁচ জন পড়ুয়াকে চারটি সেমেস্টারে সাসপেন্ড করা হতে পারে। এমনকি, গবেষণা শেষের পর এক জন গবেষক ছাত্রকে আর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।
অন্য দিকে ইউজিসির (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি এবং ইসির সদস্যদের সাথে বৈঠকে বসেছেন। এই বৈঠকে ইউজিসির প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তুলেছেন, “র্যাগিং হলেও এত দিন কড়া শাস্তি দেওয়া হল না কেন? এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এতো নরম মনোভাব কেন? তাছাড়া র্যাগিং প্রমাণিত হলে দোষী ছাত্রকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হয়নি কেন? এবং এত দিন ইসির বৈঠক ডাকা হয়নি কেন?” ইতিমধ্যে যাবতীয় বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।