ব্যুরো নিউজঃ মায়ানমারঃ মায়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের লেট ইয়েট কোন গ্রামের একটি বৌদ্ধ মঠে একটি বিদ্যালয়ে হঠাৎই সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে গুলি চলল। এই ঘটনায় মৃত্যু হলো প্রায় ৬ জন পড়ুয়ার। আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। এরপরই আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এদিকে সেনাবাহিনী মৃতদেহগুলিকে ঘটনাস্থল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি শহরে নিয়ে গিয়ে কবর দিয়ে দেয়। সূত্রের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর কাছে খবর ছিল, জঙ্গিরা এই বিদ্যালয় সন্ত্রাসমূলক কাজের জন্য ব্যবহার করছে। সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণের ছক কষছে। তাই বিদ্যালয়ে গুলি চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে সেনাবাহিনীর তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে‘ কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি’ নামক একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা ওই মঠে লুকিয়ে গ্রামটিকে অস্ত্র লেনদেনের কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করছিলেন। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে ওই এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার পর জঙ্গিরা বিদ্যালয়ের ভিতর থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী ন্যাশনাল ইউনিটি গর্ভমেন্টের (এনইউজি) দাবী, সেনাবাহিনী ইচ্ছা করেই এই বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। এমনকি এই ঘটনার পর ২০ জন ছাত্র ও শিক্ষককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মায়ানমারের সেনাবাহিনী দেশ সামালানোর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় দেশে অসন্তোষের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। দেশ থেকে সেনাবাহিনীকে সরাতে দেশ জুড়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী সশস্ত্র আন্দোলনের পথে নেমেছে।